ডায়াবেটিস রোগের চিকিৎসা -ডায়াবেটিস লক্ষণ

ডায়াবেটিস রোগের চিকিৎসা এখন সবযায় গাতেই পাবেন।ডায়াবেটিস হলো একটি দীর্ঘস্থায়ী রোগ যেখানে রক্তে শর্করার মাত্রা অস্বাভাবিকভাবে বেড়ে যায়।ডায়াবেটিস ভিবিন্ন করনে হতে পারে,আজকে আমি আপনাদের সাথে আলোচনা করবো ডায়াবেটিস লক্ষণ গুলো কি কি এবং Diabetes হলে রোগের 

ডায়াবেটিস-রোগের-চিকিৎসা

পোস্টসূচীপত্র:চিকিৎসা কি এবং এর সাথে ভিবিন্ন টিপস নিয়ে আলোচনা করবো যেমন:সুগার কমানোর উপায়,ডায়াবেটিসের আয়ুর্বেদিক ঔষধ গুলো কি কি?ডায়াবেটিস সারানোর উপায় এ রকম আরো অনেক টিপস নিয়ে আলোচ না করবো।

ডায়াবেটিস কি?

ডায়াবেটিস হলো একটি দীর্ঘস্থায়ী রোগ যেখানে রক্তে শর্করার (গ্লুকোজ) মাত্রা অস্বাভাবিকভাবে বেশি থাকে।ডায়াবেটিস কত সালে সর্বপ্রথম দরা পরে নির্দিষ্ট  ভাবে বলা অনেক কঠিন।ডায়াবেটিসের লক্ষণগুলি স্পষ্ট না হওয়ায় করনে

প্রাচীনকালে রোগটি সনাক্ত করা কঠিন ছিল।ডায়াবেটিসের প্রাচীনতম গন্থে উল্লেখ পাওয়া যায় মিশরীয় প্যাপিরাসে,যা ১৫৫০ খ্রিস্টপূর্বাব্দে লেখা হয়েছে।১৬৭৫ সালে,ইংরেজ চিকিৎসক থমাস উইলিস প্রস্রাবে শর্করার উপস্থিতি পর্যবেক্ষণ করেন এবং "ডায়াবেটিস" নামটি ব্যবহার করেন

যার অর্থ "সাইফন"।১৯২১ সালে, কানাডিয়ান বিজ্ঞানীরা অগ্ন্যাশয় থেকে ইনসুলিন নিষ্কাশন করতে সফল হন,যা ডায়াবেটিসের চিকিৎসায় একটি যুগান্তকারী মুহূর্ত ছিল।আধুনিক চিকিৎসা বিজ্ঞানের অগ্রগতির সাথে সাথে ডায়াবেটিসের রোগ নির্ণয় এবং চিকিৎসার আগে থেকে অনেক উন্নত হয়েছে।ডায়াবেটিস একটি নিয়ন্ত্রণযোগ্য রোগ,এটি সম্পূর্ণভাবে নিরাময়যোগ্য নয়।

ডায়াবেটিস এর লক্ষণ

ডায়াবেটিস রোগের কিছু লক্ষন আছেেএই লক্ষ গুলো নিচে দেওয়া হল:

  • অতিরিক্ত তৃষ্ণার অনুভকরা
  • ঘন ঘন প্রস্রাব হওয়া
  • অতিরিক্ত পরিমান ক্ষুধা
  • অস্বাভাবিক ওজন হ্রাস
  • শারীরিক দুর্বলতা ও ক্লান্তি বেশি হওয়া
  • বারবার ইনফেকশন হয়
  • ক্ষত নিরাময় ধীরে ধীরে হয়
  • চোখে ঝাপসা দেখা
  • মুখ ও যোনিতে চুলকানি হয়
  • পায়ের পাতায় ঝিঝিভাব হয়
  • হাত পায়ের পেশিতে ব্যথা হয়
  • অজ্ঞান হয়ে যাওয়া
  • দ্রুত শ্বাস-প্রশ্বাস নিয়ে থাকে
  • পেটে তীব্র ব্যথা হয়

উপরে উল্লেখিত লক্ষণগুলির কোনটি যদি আপনার থাকে,আপনার পরিবারে কারউ যদি Diabetes রোগের উতিঞাস থাকে।তাহলেও আপনার Diabetes হতে পারে।মানে রাখবেন  ডায়াবেটিসের লক্ষণগুলি সবসময় স্পষ্ট নাও হতে পারে।তাই আপনি নিয়মিত আপনার রক্তে শর্করার পরীক্ষা করে নিবেন।

উপরে উল্লেখিত তথ্য গুলো শুধুমাত্র সাধারণ জ্ঞানের জন্য।সঠিক চিকিৎসার জন্য একজন ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করা আপনার জন্য অপরিহার্য।তাই উপরে উল্লেখিত  লক্ষন গুলো আপনার শরিরে দেখা দিলে আপনি একজন ডাক্তারের পরামর্শ নিবেন। 

স্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস

সুস্থ থাকার জন্য স্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস Diabetes রুগের জন্য গুরুত্বপূর্ণ।স্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস শরিরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি,স্থিতিশীল ওজন বজায় রাখে এবং দীর্ঘ ও সুস্থ জীবনযাপনের স্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস অনেক গুরুত্ত পূর্ণ।স্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাসে তালিকা নিচে দেওয়া হল:

  • প্রচুর পরিমাণে শাকসবজি ও ফলমূল খাওয়া
  • চর্বিহীন বা কম চর্বিযুক্ত প্রোটিন খাবার খাওয়া
  • পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান করা
  • নিয়মিত ব্যায়াম

ডায়াবেটিস-রোগের-চিকিৎসা
ডায়াবেটিস রোগির জন্য নিয়মিত ব্যায়াম শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্যের জন্য অপরিহার্য।এটি স্থিতিশীল ওজন বজায় রাখা,রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি, হৃৎপিণ্ডের স্বাস্থ্যের উন্নতি,মানসিক চাপ কমানো এবং দীর্ঘ ও সুস্থ জীবনযাপনের জন্য অনেক গুরুত্বপূর্ণ নিয়মিত ব্যায়াম ব্যায়াম করা।

ডায়াবেটিসের ওষুধ সেবনকালে ভ্রমণ

ডায়াবেটিসের ওষুধ সেবনকালে ভ্রমণ ডায়াবেটিস রোগী হলে ভ্রমণের সময় কিছু বিষয় মাথায় রাখা গুরুত্বপূর্ণ।আপনি যদিDiabetes রোগি হন তাহলে আপনাকে নিয়মিত সময় করে ওষুধ ক্ষেতে হবে,যদি আপনি সময় মত ওষধ না খান তাহলে আপনি জটিলতাই পরতে পারেন। 

  • আপনি যে ওষুধগুলো নিয়মিত খান তার যথেষ্ট পরিমাণ ভ্রমণের সময় সাথে রাখুন।
  • ওষুধগুলো সবসময় আপনার হাতের কাছে রাখুন,যাতে করে প্রয়োজনে সময়মত করে ওষুধ ক্ষেতে পারেন।
  • আপনার ওষুধ হারিয়ে গেলে বা নষ্ট হয়ে গেলে কী করবেন তার জন্য বিকল্প ব্যবস্থা আপনাকে রাখতে হবে।
  • ভ্রমণের সময় আপনার ডাক্তারের প্রেসক্রিপশন সাথে রাখুন,যদি আপনি ইনসুলিন ব্যবহার করে থাকেন।

আপনার জন্য সঠিক ডায়াবেটিসের ওষুধ বাছাই

আপনার জন্য সঠিক ডায়াবেটিসের ওষুধ বাছাই করার সময় বেশ কিছু বিষয় মাথাইরাখতে হবে এবং বিবেচনা করতে হবে।নিচে আলোচনা করা হল:

  • আপনার ডায়াবেটিসের ধরণ জানতে হবে
  • আপনার রক্তে শর্করার মাত্রা জানতে হবে
  • আপনার অন্যান্য স্বাস্থ্য সমস্যা আছে কি না জানতে হবে
  • আপনার জীবনধারা কিভাবে পরিচাল না করেন
  • ওষুধের পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া হয় কি না

আপনার জন্য সঠিক ডায়াবেটিসের ওষুধ নির্বাচন করার জন্য আপনার ডাক্তারের সাথে কথা বলা গুরুত্বপূর্ণ।আপনার ডাক্তার আপনার ডায়াবেটিসের ধরণ,রক্তে শর্করার মাত্রা,অন্যান্য স্বাস্থ্য সমস্যা,এবং জীবনধারা বিবেচনা করে আপনার জন্য সবচেয়ে ভালো ওষুধ নির্বাচন করতে সাহায্য করবে।

ডায়াবেটিসের আধুনিক চিকিৎসা

বর্তমান সময়ে Diabetes রোগের আধুনিক অনেক চিকিৎসা আছে।Diabetes রোগিরা আধুনিক চিকিৎসা নিয়ে সহবে Diabetes কে নিয়ন্তনে রাখতে পারেন।Diabetes কখনো একবারে ভাল হবে না,এটি নিয়্তন করা যায়,ওষুধ এর মাধ্যেমে।নিচে Diabetes নিয়ন্তনের উপায় নিয়ে আলোচনা করা হল:

ইনসুলিন: টাইপ ১ ডায়াবেটিস এবং কিছু টাইপ ২ ডায়াবেটিস রোগীর জন্য ইনসুলিন থেরাপি প্রয়োজন। ইনসুলিন রক্তে শর্করার মাত্রা কমাতে সাহায্য করে।
ওষুধ:টাইপ ২ ডায়াবেটিসের জন্য বিভিন্ন ধরনের ওষুধ পাওয়া যায়।এই ওষুধগুলি রক্তে শর্করার মাত্রা কমাতে বিভিন্ন উপায়ে কাজ করে।
গ্লুকোজ মনিটরিং:ডায়াবেটিস রোগীদের নিয়মিত তাদের রক্তে শর্করার মাত্রা পরীক্ষা করা উচিত। গ্লুকোজ মনিটরিং ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে।
জীবনধারা পরিবর্তন:স্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়া,নিয়মিত ব্যায়াম করা,এবং ওজন কমানো ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে।

ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখা গুরুত্বপূর্ণ কারণ এটি হৃদরোগ,স্ট্রোক,কিডনি রোগ, অন্ধত্ব এবং অন্যান্য জটিলতাগুলির ঝুঁকি বাড়ায়।আধুনিক চিকিৎসা এবং প্রযুক্তি ডায়াবেটিস রোগীদের তাদের রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে এবং জটিলতাগুলির ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করতে পারে।

পরিবারে ইতিহাস থাকলে ডায়াবেটিসের ঝুঁকিতে সন্তান

পরিবারে ডায়াবেটিসের ইতিহাস থাকলে সন্তানের ডায়াবেটিসে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি বেড়ে যায়।ঝুঁকির পরিমাণ নির্ভর করে ডে বিষ গুলোর উপরনিচে আলোচনা করা হল:

  • কোন ধরনের ডায়াবেটিস:টাইপ ১ ডায়াবেটিসের পারিবারিক ইতিহাস থাকলে টাইপ ২ ডায়াবেটিসের চেয়ে ঝুঁকি কম।
  • কতজন নিকটাত্মীয় ডায়াবেটিসে আক্রান্ত:যত বেশি নিকটাত্মীয় ডায়াবেটিসে আক্রান্ত,ঝুঁকি তত বেশি।
  • নিকটাত্মীয়দের বয়স:যদি নিকটাত্মীয়রা অল্প বয়সে ডায়াবেটিসে আক্রান্ত হয়,ঝুঁকি তত বেশি।

ঝুঁকি কমাতে কিছু পদক্ষেপ:

  • স্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়া:শিশুদের স্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়ান যাতে প্রচুর ফল,শাকসবজি।
  • নিয়মিত ব্যায়াম করা:শিশুদের প্রতিদিন কমপক্ষে ৬০ মিনিট ব্যায়াম করতে উৎসাহিত করুন।
  • ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখা:শিশুদের স্বাস্থ্যকর ওজন বজায় রাখতে সাহায্য করুন।
  • নিয়মিত রক্তে শর্করার পরীক্ষা করা:যদি শিশুর ডায়াবেটিসের ঝুঁকি বেশি থাকে,তাহলে নিয়মিত রক্তে শর্করার পরীক্ষা করা উচিত।

পরিবারে ডায়াবেটিসের ইতিহাস থাকলে শিশুর ডায়াবেটিসের ঝুঁকি সম্পর্কে সচেতন থাকা গুরুত্বপূর্ণ।ঝুঁকি কমাতে পদক্ষেপ নেওয়ার মাধ্যমে,আপনি আপনার শিশুকে ডায়াবেটিসের জটিলতা থেকে রক্ষা করতে সাহায্য করতে পারেন।

লেখক এর মতামত

বর্তমান সময়ে চিকিৎসা বিঙ্গান অনেক উন্নত হওয়া কারনে ডায়াবেটিস রোগের চিকিৎসা করে Diabetes রোগ নিয়ন্তে রাখা যায়।উপরে ডায়াবেটিস লক্ষণ নিয়ে আলোচ না করা হয়েছে এবং ডায়াবেটিস রোগের চিকিৎসা নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে।Diabetes রোগটি কখনো একবারে নিরাময় হবে না,তবে Diabetes ওষুধ এর মাধ্যেমে নিয়ন্ত করা যায়।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url