ফ্রিল্যান্সিং এর গুরুত্ব এবং ফ্রিল্যান্সিং সম্পর্কে বিস্তারিত যেনে নিন

ফ্রিল্যান্সিং এর গুরুত্ব ফ্রিল্যান্সিং কি ?কিভাবে ফ্রিল্যান্সিং শিখব?কোথায় ফ্রিল্যান্সিং শিখব?আমি কি লেখাপড়ার পাশাপাশি ফ্রিল্যান্সিং করতে পারব?ফ্রিল্যান্সিং করতে কি কি যোগ্যতা লাগে ?এমন আরো হাজারটা প্রশ্ন ঘুরছে আমাদের মাথায়।

ফ্রিল্যান্সিং-এর-গুরুত্ব

আজকে আমরা এই আর্টিকেল থেকে ফ্রিল্যান্সিং এর ভিবিনন কাজ সমূহ গুলো বিস্তারিত জানার চেষ্ট করবো।আপনার রা যদি এই পোষ্টটি মনোযোগ দিয়ে পরেন তাহলে ১০০% ফ্রিল্যান্সিং এর গুরুত্ব কতটুকু বর্তমান সময়ে বিস্তারিত জানতে পারবেন।

আরো পড়ুন : অনলাইনে টাকা ইনকাম করার সহজ উপায়

তাই আমাদের আজকের আলোচনায় থাকবে freelancing নিয়ে যাবতীয় প্রশ্নের উত্তর।আজকের আলোচনায় এমন কিছু থাকবে যার মাধ্যমে আপনি নিজেই নিজের ফ্রিল্যান্সিং সেক্টরটি খুজে নিতে পারবেন।

পোস্টসূচীপত্র:ফ্রিল্যান্সিং এর গুরুত্ব এবং ফ্রিল্যান্সিং সম্পর্কে বিস্তারিত যেনে নিন

ফ্রিল্যান্সিং কি?

ফ্রিল্যান্সিং মানে মুক্ত পেশা।যেখানে কোনো ব্যাক্তি বা প্রতিষ্ঠানের অধীনে কাজ না করে একজন ব্যক্তি স্বাধীনভাবে বিভিন্ন ক্লায়েন্টদের জন্য নির্দিষ্ট প্রকল্প বা কাজ সম্পাদন করে অর্থ উপার্জন করে।একজন ফ্রিল্যান্সার চাইলেই একটানা ১০ দিন কাজ চালিয়ে যেতে পারে আবার এক টানা ১০ দিন কাজ বন্ধও রাখতে পারে।এটা সম্পূর্ণ তার উপর নির্ভর করে।

ফ্রিল্যান্সিং য়ে কি কি কাজ করতে হয় ?

কাজটা কিভাবে শিখব জানার আগে আমাদেরকে জানতে হবে আমরা কোন কাজটা শিখব,মার্কেট প্লেসে কাজের চাহিদা কেমন ?ফ্রিল্যান্সিংয়ে কিছু কাজের চাহিদা অন্যান্য কাজের তুলনায় বেশি থাকে।বর্তমানে সবচেয়ে চাহিদাপূর্ণ ফ্রিল্যান্সিং কাজগুলোর মধ্যে রয়েছে:

  • ওয়েব ডেভেলপমেন্ট ও ডিজাইন
  • মোবাইল এপ ডেভেলপমেন্ট
  • ডিজিটাল মার্কেটিং
  • গ্রাফিক ডিজাইন
  • কনটেন্ট রাইটিং ও কপি রাইটিং
  • ভিটেকডিও প্রোডাকশন ও এডিটিং
  • ভার্চুয়াল অ্যাসিস্ট্যান্ট
  • ই-কমার্স সাপোর্ট

এই কাজগুলো বর্তমানে ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেসে অনেক চাহিদা পূর্ণ।দক্ষতা ও অভিজ্ঞতা অর্জন করলে,এই সেক্টরে ভালো আয়ের সুযোগ আছে।ফ্রিল্যান্সিং এর গুরুত্ব অকেন বর্তমান সময়ে উপরে দেখানো কাজ গুলো যদি আপনার জান থাকে তাহলে আপনি freelancing টাকা আয়করতে পারবেন।

কিভাবে ফ্রিল্যান্সিং শিখব?

ফ্রিল্যান্সিং শিখতে যে ধাপ গুলো অবলম্বন করতে হবে এবং আপনাকে যে বিষয় গুলোর উপর ফ্রিল্যান্সিং এর গুরুত্ব দিতে হবে বেশি করে নিচে বিস্তারিত আলোচনা করা হল:

সেক্টর নির্বাচন

ফ্রিল্যান্সিং শিখার জন্য প্রথমে আপনাকে নির্বাচন করতে হবে আপনি কোন সেক্টরের উপর দক্ষতা অর্জন করতে চান অথবা কোন সেক্টরে আপনার দক্ষতা আছে।যেমন:ওয়েব ডেভেলপমেন্ট ও ডিজাইন,মোবাইল এপ ডেভেলপমেন্ট,ডিজিটাল মার্কেটিং ইত্যাদি।এক্ষেত্রে,অবশ্যই আপনার উচিত হবে সেই সেক্টরকে প্রাধান্য দেওয়া যেই সেক্টরে আপনার পূর্বে অভিজ্ঞতা রয়েছে।

মেন্টর নির্বাচন

সেক্টর নির্বাচনের পর আপনাকে একজন দক্ষ মেন্টর খুঁজতে হবে।কেননা একজন দক্ষ মেন্টর আপনার শেখার গতি এবং দক্ষতা বৃদ্ধিতে সহায়ক হতে পারে।মেন্টর খুঁজার সময় সাবধানতা অবলম্বন করবেন। এমন একজন মেন্টর গ্রহণ করুন যিনি সর্বদা আপনাকে সাপোর্ট দিতে পারবে।

পরিশ্রমী চিন্তা ভাবনা

ফ্রিল্যান্সিং-এর-গুরুত্ব

আপনি যদি একজন সফল ফ্রিল্যান্সার হতে চান তাহলে অবশ্যই অবশ্যই আপনাকে পরিশ্রমী হতে হবে। ফ্রিল্যান্সিংয়ে প্রতিযোগিতা অনেক বেশি, তাই আপনাকে প্রচুর পরিশ্রম করতে হবে। প্রথম দিকে কাজ পাওয়া কঠিন হতে পারে, কিন্তু ধৈর্য ধরে কাজ চালিয়ে যেতে হবে।আপনার সেক্টরে সর্বোচ্চ দক্ষতা অর্জন করতে হবে।নিয়মিত আপডেট থাকা এবং নতুন স্কিল শেখা আপনার ক্যারিয়ারকে আরও এগিয়ে নিয়ে যাবে।

আরো পড়ুন : বাংলা আর্টিকেল লেখার নিয়ম  যেনে নিন

কোথায় ফ্রিল্যান্সিং শিখব?

ফ্রিল্যান্সিং শিখতে অনেক অনলাইন প্ল্যাটফর্ম এবং উৎস রয়েছে।নিচে কিছু জনপ্রিয় প্ল্যাটফর্মের নাম দেওয়া হলো যেখানে আপনি ফ্রিল্যান্সিং শিখতে পারেন:

ইউটিউব

ইউটিউবে অনেক ফ্রিল্যান্সিং বিষয়ক ফ্রি ভিডিও টিউটোরিয়াল পাওয়া যায়।বিভিন্ন স্কিল যেমন গ্রাফিক ডিজাইন,ওয়েব ডেভেলপমেন্ট,কনটেন্ট রাইটিং ইত্যাদি শিখতে পারবেন।

উডেমি (Udemy)

উডেমিতে অনেক কোর্স পাওয়া যায় যেগুলো আপনাকে ফ্রিল্যান্সিং শিখতে সাহায্য করবে।সাধারণত এই কোর্সগুলো পেইড হয়ে থাকে,তবে ডিসকাউন্টে অনেক কম মূল্যে পাওয়া যায়।

কোর্সেরা (Coursera)

কোর্সেরাতে ও ফ্রিল্যান্সিং এবং বিভিন্ন স্কিল শেখার জন্য কোর্স পাওয়া যায়।এখানেও কিছু কোর্স ফ্রি,আর কিছু পেইড।

ইশিখন (Eshikhon)

আপনি ইশিখনের মত স্থানীয় অনলাইন প্ল্যাটফর্ম থেকে কোর্স করতে পারেন,যেগুলো আপনার ভাষায় এবং প্রয়োজন অনুসারে তৈরি করা।

ফাইভার লার্ন (Fiverr Learn)

ফাইভার লার্ন একটি প্ল্যাটফর্ম যেখানে আপনি ফ্রিল্যান্সিং স্কিল শিখতে পারেন।এটি ফাইভার মার্কেটপ্লেসের সাথে সংযুক্ত,যা আপনাকে ফ্রিল্যান্সিং ক্যারিয়ার শুরু করতে সাহায্য করতে পারে।

ক্রিয়েটিভ আই0টি (Creative IT)

বাংলাদেশে একটি সুপরিচিত আইটি ট্রেনিং ইনস্টিটিউট।তারা বিভিন্ন ধরনের আইটি এবং ফ্রিল্যান্সিং বিষয়ক কোর্স অফার করে,যেমন গ্রাফিক ডিজাইন,ওয়েব ডেভেলপমেন্ট,ডিজিটাল মার্কেটিং,মোশন গ্রাফিক্স, ইত্যাদি।

আমি কি লেখাপড়ার পাশাপাশি ফ্রিল্যান্সিং করতে পারব?

হ্যাঁ,আপনি লেখাপড়ার পাশাপাশি ফ্রিল্যান্সিং করতে পারবেন।অনেক শিক্ষার্থীই লেখাপড়ার পাশাপাশি ফ্রিল্যান্সিং করে অর্থ উপার্জন করছে এবং বিভিন্ন স্কিল উন্নত করছে।শুরুতে একটু কঠিন মনে হতে পারে, তবে সঠিক পরিকল্পনা করে সময় নিয়ে আপনি লেখাপড়ার করার পাশাপাশি ফ্রিল্যান্সিং কাজ করতে পারবেন।

আরো পড়ুন : ইউটিউবে ভিডিও দিয়ে অনলাইনে ইনকাম করার উপায় যেনে নিন

ফ্রিল্যান্সিং করতে কি কি যোগ্যতা লাগে ?

ফ্রিল্যান্সিং করতে গেলে কিছু নির্দিষ্ট যোগ্যতা ও দক্ষতা থাকা দরকার।এখানে কিছু গুরুত্বপূর্ণ যোগ্যতার তালিকা দেওয়া হলো:

স্কিল (দক্ষতা)

ফ্রিল্যান্সিং করতে হলে আপনার একটি নির্দিষ্ট ক্ষেত্রে দক্ষতা থাকতে হবে।যেমন,গ্রাফিক ডিজাইন,ওয়েব ডেভেলপমেন্ট,কনটেন্ট রাইটিং,ডিজিটাল মার্কেটিং,ভিডিও এডিটিং,ট্রান্সলেশন ইত্যাদি।

টেকনিক্যাল স্কিল

যদি আপনি টেকনিক্যাল কোনো কাজে ফ্রিল্যান্সিং করতে চান,যেমন প্রোগ্রামিং বা ইঞ্জিনিয়ারিং,তাহলে সেই বিষয়ে প্রয়োজনীয় জ্ঞান থাকা জরুরি।

লেখা লেখি করার দক্ষতা

ফ্রিল্যান্সিংয়ের ক্ষেত্রে ইমেইল,মেসেজিং অ্যাপ বা চ্যাটের মাধ্যমে কাজের বিবরণ ও গ্রাহকের চাহিদা বুঝে নিতে হবে।পরিষ্কার এবং পেশাদারিভাবে যোগাযোগ করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

সময়ের মধ্যে কাজ সম্পন্ন করা

সময়মতো কাজ ডেলিভার করা ফ্রিল্যান্সিংয়ের ক্ষেত্রে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।এর জন্য আপনাকে ভালোভাবে সময় পরিকল্পনা করতে হবে।

প্রজেক্ট ম্যানেজমেন্ট

বিভিন্ন প্রজেক্টের কাজের অগ্রগতি ট্র্যাক করা এবং গ্রাহকদের সাথে সময়মতো আপডেট শেয়ার করা।

প্রোফাইল তৈরি

ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেসে (যেমন Upwork,Fiverr,Freelancer) একটি শক্তিশালী প্রোফাইল তৈরি করা।

পোর্টফোলিও

আপনার কাজের নমুনা বা পোর্টফোলিও তৈরি করা যাতে গ্রাহকরা আপনার কাজের মান সম্পর্কে ধারণা পেতে পারে।

স্ব-প্রশিক্ষণ

নতুন স্কিল শিখতে এবং নিজের দক্ষতা বাড়াতে আত্মপ্রণোদিত হওয়া।ফ্রিল্যান্সিংয়ে উন্নতি করতে নিজেই উদ্যোগী হতে হবে।

মূল্য নির্ধারণ

আপনার কাজের জন্য উপযুক্ত মূল্য নির্ধারণ করতে জানতে হবে।এছাড়াও,বাজেট তৈরি করা এবং আয়-ব্যয়ের হিসাব রাখা গুরুত্বপূর্ণ।

চুক্তি এবং পেমেন্ট

গ্রাহকের সাথে কাজের শর্তাবলী নিয়ে আলোচনা এবং পেমেন্ট সংগ্রহের দক্ষতা থাকতে হবে।

ধৈর্য

শুরুতে কাজ পেতে কিছুটা সময় লাগতে পারে,তাই ধৈর্য ধরতে হবে।ফ্রিল্যান্সিং এর গুরুত্ব দিতে হবে জানার ক্ষেত্রে বেশি করে।

আরো পড়ুন : ফ্রিতে টাকা ইনকাম করার ৫টি সেরা  উপায় যেনে নিন

এই যোগ্যতাগুলো অর্জন করতে পারলে এবং সময়মতো প্রয়োগ করতে পারলে আপনি সফলভাবে ফ্রিল্যান্সিং করতে পারবেন।

লেখক এর মতামত

ফ্রিল্যান্সিং এর গুরুত্ব বর্তমান সময়ে অনেক,আপনি চাইলে freelancing করে টাকা আয়করতে পারবেন।এখন ফ্রিল্যান্সিং ক্যারিয়ার গরা অনেক সহজ তার কারণ আপনার আসে পাসে আনেক র্সোচ পাবেন ফ্রিল্যান্সিং শিখার জন্য উপরে এ গুলো নিয়ে বিস্তারিত আলো চনা করা হয়েছে।আশা করি আপনি সম্পূর্ন ব্লগটি পড়েছেন এবং আপনার সকল প্রশ্নের উত্তর পেয়েছেন।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url