পুরুষ ও মহিলার নামাজ এর পার্থক্য
নামাজ সর্ম্পকে প্রত্যেকে মুসলিম এর সঠিক ধারানা থাকা দরকার।পুরুষ ও মহিলার নামাজ এর পার্থক্য নিয়ে আজকে আমি আপনাদের সাথে আলোচনা করবো।এই পোষ্টটি মনোযোগ দিয়ে পরলে পৃরুষ এবং মহিলারা নামাজ
সর্ম্পকে সঠিক একটি ধারনা পাবেন।পুরুষ ও মহিলার নামাজ এর পার্থক্য নিচে বিস্তারিত আলোচনা করা হল:
পোস্টসূচীপত্র:পুরুষ ও মহিলার নামাজ এর পার্থক্য
পুরুষ ও মহিলার নামাজ এর পার্থক্য
- পবিত্র স্থানে দাঁড়িয়ে নামাজ পড়া ফরজ।
- কিবলামুখী হওয়া ফরজ।
- কিবলার দিকে পা সোজা রাখা সুন্নত।
- আপনার পায়ের সামনে এবং পিছনে সমান দূরত্ব থাকতে হবে যাতে আপনার পা কিবলার দিকে সোজা থাকে।
- দু্-পায়ের মাঝখানে চার আঙ্গুল ফাক থাকা মুস্তাহাব।
- নামাজের নিয়ত বাধার পূর্ব পর্যন্ত হাতছাড়া থাকতে হবে,হাত বাধলে মাকরূহ হবে।
- উভয় পায়ে সমানভাবে ওজন দিয়ে দারান।ন এক পায়ে উপর ভর দিয়ে দারালে মাকরুহবে।
- নিয়ত করা ফরজ।নিয়তের ক্ষেত্রে লম্বা চওড়া বাক্য বলা প্রয়োজন এর বাইরে।ফরজের ক্ষেত্রে কোন ওয়াক্তের ফরজ এবং কোন ওয়াক্তের সুন্নাত ও নফলের ক্ষেত্রে নামাজের উল্লেখ করলেই যথেষ্ট।
- নিয়তের ক্ষেত্রে হৃদয়ের অনুভূতি ধারা অমুক নামাজ পড়ছি বলে ইচ্ছে করলে এতেই যথেষ্ট হবে।আলাদা করে অন্য কিছু বলার দরকার পড়বে না।নিয়ত মূলত মনের ইরাদা ও ইচ্ছার নাম।তাই মনে মনে নিয়ত করলেই যথেষ্ট।তবে মুখে নিয়ত উচ্চারণ করাকে এই অর্থে উত্তম বলা যায় যে, এতে হৃদয়ের আকর্ষণ বাড়ে ও মনের খটকা দূর হয়ে যায়।
- নিয়ত মুখে উচ্চারণ করলে আরবিতেও করা যায়।আরবিতে নিয়ত করা ফরজ, ওয়াজিব বা মুস্তাহাব এমন কিছুই নয়।
- কান পর্যন্ত হাত উঠানো সুন্নাতে মুয়াক্কাদা।নিয়ত বাধার সময় পুরুষগণ চাদর পরিহিত থাকলে তার মধ্য থেকে হাত বের করবে, কিন্তু মহিলাগণ কাপড়ের মধ্যে হতে হাত বের করবে না।মহিলাগন সিনা পর্যন্ত হাত উঠাবে এমনভাবে যেন আঙ্গুলের অগ্রভাগ কাদ পর্যন্ত উঠে।
- পুরুষ এবং মহিলা উভয়ের জন্য হাতের তালু আঙ্গুলের পেট সহ কেবলামুখী রাখা সুন্নাত।
- হাতের আঙ্গুলগুলো একত্রে কাছাকাছি থাকা উচিত নয়, তবে আঙ্গুলের মধ্যে ফাঁক থাকবে। এটাই সুন্নত।
- পুরুষদের জন্য দুই বৃদ্ধ আঙ্গুলের অগ্রভাগ কানের লতির সাথে লাগানো মুস্তাহাব।
- “আল্লাহু আকবার”- বলে নিয়ত বাঁধবে।এই তাকবীর ফরজ।এটাকে তাকবীরে তাহরীমা বলে।
- "আল্লাহ" এবং "আকাবার" শব্দের আলিফ জোর দেওয়া ভাল, এবং হা উচ্চারণের সময় কিছুটা টান হয়।
- হাত উঠিয়ে কানের লতির সঙ্গে বৃদ্ধ আঙ্গুলের স্পর্শ করার পর “আল্লাহু আকবার” বলে শুরু করা উত্তম।হাত উঠাতে উঠাতে বা হাত উঠানো শুরু করার পূর্বেও “আল্লাহু আকবার” বলে নেয়া যায়।
- হাত বাধা সম্পূর্ণ করার সাথে সাথে “আল্লাহু আকবার” বলে শেষ করা উত্তম।
- কান থেকে হাত সোজা বাধার দিকে নিয়ে যাবে,বাহুগুলিকে সরাসরি নীচে ছেড়ে দেওয়া যায় না বা ফিরে যেতে পারে না।
- “তাকবীরে তাহরীমা” বলার সময় স্বাভাবিকভাবে সোজা দাঁড়িয়ে মাথা নিচের দিকে ঝোকানো থাকতে হবে।
- নাভির নিচে হাত বাধা সুন্নাত, নাভির পরে রাখলেও সমস্যা নেই।
- ডান হাতের তালু বাম হাতের ওপরে রাখবে।
- ডান হাতের বুড়ো আঙুল দিয়ে বাম হাতের কব্জি ধরা সুন্নত।
- ডান হাতের বাকি অবশিষ্ট তিনটি আঙ্গুল বাম হাতের পিঠের উপর স্বাভাবিকভাবে রাখতে হবে।এবং মহিলাগণ সিনার ওপর ডান হাতের তালু বাম হাতের পিঠের উপর রেখে নিয়ত বাঁধবে এটা সুন্নাত।
- ছানা পড়া সুন্নত।
- আউযু বিল্লাহি মিনাস শাইতানির রাজিম পড়া সুন্নত।
- বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম পড়া সুন্নাত।
- সুরায়ে ফাতিহা পড়া ওয়াজিব।
- সূরা ফাতিহার শেষে আমিন বলা সুন্নত।
- একাকী নামায পড়ার সময় ধীরে ধীরে "আমিন" বলা উত্তম, ইমাম ও মুক্তাদী থাকলেও ধীরে ধীরে "আমিন" বলুন।
- সূরা মিলানোর পূর্বে বিসমিল্লাহ পড়া মুস্তাহাব।
- তারপর সূরা মিলিয়ে পড়া ওয়াজিব।
- প্রতি পরবর্তী রাকআতের সূরা/কিরাত তারতীব অনুযায়ী পড়া অর্থাৎ, সামনে থেকে কোন সূরা পড়া, পিছন দিক থেকে না পড়া।এই তারতীব রক্ষা করা ওয়াজিব।এর বিপরীতে করলে নামাজ মাকরুহ হবে ও সাজদায়েসহ ওয়াজিব হবে না।
- অধিক সহিহ মতানুসারে এতোটুকু শব্দে সূরা পড়া যেন নিজে তার শব্দ শুনতে পায়।তাকবীর ইত্যাদি ক্ষেত্রেও এটি প্রযোজ্য।
- সূরা “আজাজিল জুলাতু” থেকে সূরা নাস পর্যন্ত-এই ছোট সূরা গুলোর ক্ষেত্রে পরবর্তী রাকাতে যেটা পড়া হয়েছে পরবর্তী রাকআতে একটা সূরা বাদ দিয়ে পরেরটা পড়া যাবে না।ফরজ এবং ওয়াজিব নামাজে এরূপ করা মাকরুহ। একটি সূরা বাদ দিলে কমপক্ষে দুটি সূরা বাদ দিতে হবে এবং পরের সূরাটি পড়তে হবে।
- সূরা বা কিরাত শেষ করার পর একটু বিরতি রেখে দম নিয়ে রুকুতে যাওয়ার তাকবীর বলা সুন্নত।
- রুকুতে যাওয়ার সময় “আল্লাহু আকবার” বলা সুন্নাত।
- “আল্লাহু আকবার” বলে হাত রুকুতে হাঁটুর দিকে নিয়ে যাবে।হাত সোজা ছেড়ে দেয়া বা পিছনের দিকে ঝারা দেয়া ।
- রুকুর জন্য ঝোঁকার সাথে সাথে “আল্লাহু আকবার” বলে শুরু করা এবং রুকুতে সোজা স্থির হওয়ার সাথে সাথে শেষ করা। এটা সুন্নাত তরীকা।
- রুকুতে পিঠ বরাবর সোজা রাখা সুন্নত।
- কোমর এবং মাথা এক বরাবর রাখতে হবে-সামনে বা পিছনে ঢোকানো যাবে না।
- পাঁজর থেকে বাহকে পৃথক রাখবে।
- রুকুতে উভয় হাতের আঙ্গুল ছড়িয়ে দেওয়া সুন্নত।
- শক্তভাবে হাঁটু ধরা সুন্নাত।
- উভয় হাতের কনুই সোজা রাখবে-ভাঁজ করে রাখবে না।। মহিলাগণ উভয় হাতের আঙ্গুলসমূহ মিলিত রেখে হাঁটুর উপরে হাত রাখবে, হাঁটু ধরবে না। এবং হাতের বাহু পাঁজরের সাথে মিলিত রেখে অল্প ঝুঁকে রুকু করবে এবং হাঁটু সামনের দিকে ঝুকিয়ে রাখবে আর পিঠ সামান্য বাঁকা রাখবে।
- রুকুতে উভয় পায়ের পাতা বা পায়ের আঙ্গুলের প্রতি নজর নিবদ্ধ রাখা আদব।
- রুকূতে পুরুষদের উচিত দাঁড়ানো অবস্থায় তাদের গোড়ালি আলাদা রাখা এবং নারীরা তাদের গোড়ালি একত্রে রাখা।
- রুকুতে “সুবাহানা রাব্বিয়াল আজিম” পড়া সুন্নাত। এই তাসবীহ ৩/৫/৭ এরূপ মেজোড় সংখ্যার পড়া সুন্নাত। এই তাসবীহের অর্থ হচ্ছে, “আমার মহান রবের পবিত্রতা বর্ণনা করছি”।
- “সামিআল্লাহু লিমান হামিদাহ্” অর্থ-আল্লাহ শোনেন, যে তার প্রশংসা করে। এটি বলে রুকু থেকে উঠা সুন্নাত।
- সোজা হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে“হামিদাহ্” বলা শেষ হবে-এটা সুন্নাত।
- রুকুর থেকে সোজা স্থির হয়ে দাঁড়ানো ওয়াজিব।
- সোজা হয়ে দাঁড়ানোর পর “রাব্বানা লাকাল হামদ্” অর্থ-“হে আমাদের রব! সকল প্রশংসা তোমার জন্য” বলা সুন্নাত। “রাব্বানা ওয়ালাকাল হামদ্” বলা আরও উত্তম। তার চেয়ে উত্তম “আল্লাহুম্মা রাব্বানা লাকাল হামদ্” বলা এবং তার চেয়েও উত্তম হলো “আল্লাহুম্মা রাব্বানা ওয়ালাকাল হামদ্” বলা।
- সেজদায় যাওয়ার সময় “আল্লাহু আকবার” বলা সুন্নাত।
- কপালে মাটিতে হাঁটু গেড়ে শেষে "আকবার" বলুন- এটাই সুন্নাত।
- সেজদায় যাওয়ার সময় উভয় হাঁটু একত্রে, তারপর উভয় হাত একত্রে, তারপর নাক এবং তারপর কপাল জমিনে রাখবে। এই তারতীব সুন্নাত। সেজদায় হাঁটুর পূর্বে হাত রাখতে হলে প্রথমে ডান হাত, তারপর বাম হাত এবং তারপর উভয় হাঁটু একত্রে রাখতে হবে।
- হাঁটু স্পর্শ করার পূর্বে কোমর ও মাথার দিকে অগ্রসর হওয়া মাকরূহ। তাই আপনার পিঠ সোজা রাখুন।
- সেজদায় যাওয়ার সময় হাঁটুর উপর হাত দিয়ে ভর না করা, এতে হাঁটু মাটিতে লাগার পূর্বেই কোমর ও মাথা সামনের দিকে ঝুঁকে যায়। অনেকেই এই কাজ করাকে সুন্নাত বলে মনে করে বিধায় এই থেকে বিরত থাকা উচিত।
- সেজদায় যাওয়ার সময় কাপড় নাড়াচাড়া বা টানাটানি করবে না, এরূপ করা মাকরুহ্।
- সেজদায় উভয় হাতের মাঝে চেহারার চওড়া পরিমাণ ফাঁক রাখবে।
- উপায় হাতের সমস্ত আঙ্গুল মিলিয়ে রাখা বা আঙ্গুলের মাঝে ফাঁক না রাখা সুন্নাত।
- উভয় হাতের সমস্ত আঙ্গুল দিয়ে কিবলার দিকে মুখ করা সুন্নত।
- আপনার হাতের মাঝখানে বৃদ্ধ আঙ্গুলদ্বয়ের বরাবর আপনার নাক রাখুন।
- নজর নাকের উপর রাখা আদব।
- দুই পায়ের টাখনু কাছাকাছি রাখা, একসাথে মিলানো যাবে না।
- উভয় পা খাড়া রাখবে।
- আপনার পায়ের আঙ্গুলগুলি মাটিতে চেপে রাখুন এবং আপনার পায়ের আঙ্গুলের ডগাগুলি যতটা সম্ভব কেবলামুখী করে রাখুন।
- কপালের অধিকাংশ অংশ ও নাকের অগ্রভাগ জমিনের সাথে লাগিয়ে রাখা ওয়াজিব।
- মহিলাগণ উভয় পা ডান দিক থেকে বের করে দিবে । এবং পেট দুই রানের সঙ্গে এবং বাহু পাঁজরের সঙ্গে মিলিয়ে ও কনুই পর্যন্ত হাত জমিনের সঙ্গে লাগিয়ে খুব চেপে সেজদা করবে।
- সেজদায় “সুবহানা রাব্বিয়াল আয়ালা” অর্থ-আমার মহান রবের পবিত্রতা বর্ণনা করছি। এটি পড়া সুন্নাত। এই তাসবীহ ৩/৫/৭-এরূপ বেজোড় সংখ্যায় পড়া সুন্নাত।
- সেজদা থেকে উঠার সময় আল্লাহু আকবার বলে উঠা সুন্নাত। প্রথমে সেজদা থেকে কপাল, তারপর নাক, তারপর হাত উঠানো সুন্নত।
- সোজা হয়ে বসার সাথে সাথে আকবর বলা শেষ করা। এটাই সুন্নাত তরীকা।
- বাম পা দিয়ে ফিরে বসা সুন্নাত। মহিলা গন দুই নিতম্বের উপর বসবে
- বসার সময় ডান পা সোজা রাখা পুরুষের জন্য সুন্নত।
- ডান পা জমিনের সঙ্গে চেপে রেখে যথাসম্ভব ডান পায়ের আঙ্গুলসমূহ কেবলামুখী করে রাখা সুন্নাত। মহিলাগন উভয় পা ডান দিকে বের করে রাখবে।
- পুরুষদের বসার সময হাতের আঙ্গুলগুলোর মাঝে সামান্য ফাঁক রাখা মুস্তাহাব। মহিলাগন আঙ্গুল মিলিয়ে রাখবে।
- হাতের আঙ্গুলগুলো সোজা কেবলামুখী করে রাখা মুস্তাহাব।
- আপনার হাঁটুর অগ্রভাগে আঙ্গুল গুলো রাখুন।
- বসার সময় নজর কুলের ওপর নিবদ্ধ রাখা আদব।
- দুই সেজদার মাঝখানের স্থির হয়ে বসা ওয়াজিব।
- দুই সেজদার মাঝখানে নিম্ন দোয়াটি পড়া মুস্তাহাব।
- “আল্লা-হুম্মাগফিরলী,ওয়ারহামনী,ওয়াহদিনী,ওয়াজবুরনী,ওয়া-আফিনী,ওয়ারযুক্বনী,ওয়ারফানী”
- দ্বিতীয় সাজদায় যাওয়ার এবং সেজদার মধ্যে উপরোক্ত আমলসমূহ (১৮ টি) করা।
- দ্বিতীয় সেজদা থেকেও আল্লাহু আকবার বলে ওঠা সুন্নাত। সেজদা থেকে ওঠার সময় প্রথমে কপাল, তারপর নাক, তারপর হাত এবং সর্বশেষ হাঁটু জমিন থেকে উঠানো সুন্নাত।
- দ্বিতীয় সেজদা থেকে উঠে না বসে একবারে দাঁড়িয়ে যাওয়া সুন্নাত।
- হাঁটুর উপরে হাত দিয়ে ভর করে উঠা মুস্তাহাব।
- সোজা হয়ে দাঁড়িয়ে আকবার পাঠ সম্পূর্ণ করুন।
- দ্বিতীয় রাকআতে দ্বিতীয় সেজদা থেকে উঠে বসে তাশাহহুদ পড়া ওয়াজিব।
- তাশাহহুদ-এরমধ্যে(আশহাদু আল) বলতে বলতে হাতের হালকা বাধা অর্থাৎ, ডান হাতের বৃদ্ধ আঙ্গুলের অগ্রভাগ এবং মধ্যমার অগ্রভাগকে মিলানো এবং কনিষ্ঠ ও অনামিকাকে হাতের তালুর সঙ্গে মিলানো। এটা মুস্তাহাব। ‘লা ইলাহা’ বলতে বলতে শাহাদাত আঙ্গুল কে উপরের দিকে উঠানো, এতটুকু ওঠানো যেন তার অগ্রভাগ কেবলামুখী হয়ে যায়। ‘ইল্লাল্লাহু’ বলার সময় আঙ্গুল নিচের দিকে নামানো।
- তাশাহহুদের পর দুরুদ শরীফ পড়া সুন্নাত।
- তারপর দোআয়ে মাছুরা পড়া মুস্তাহাব।
- তারপর “আসসালা মুআলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ” বলে উভয় দিকে সালাম ফিরানো ওয়াজিব।
- সালাম ফিরানোর সময় নজর কাধেঁর উপর রাখা মুস্তাহাব।
- ডান দিকে সালাম ফিরানোর সময় ডান দিকের ফিরিশতাকে সালাম করার নিয়ত করা। অনুরুপ বাম দিকে সালাম ফিরানোর সময় ফিরিশতাকে সালামের নিয়ত করা।
- সালাম ফিরানোর সময় চেহারা কেবলামুখী থাকা অবস্থায় শুরু করা,এবং কাঁধে নজর করে শেষ করা।
- দ্বিতীয় সালামকে কম দীর্ঘ করা এবং আওয়াজ নিচু করা সুন্নাত।
- সালামের সময়, ঘাড় এমনভাবে ঘুরিয়ে দেওয়া হয় যাতে একজন ব্যক্তির মুখের অর্ধেক পিছনের লোকেরা দেখতে পায়।
- এতক্ষণ যাবৎ দুই রাকআত নামাজের বিবরণ পেশ করা হয়েছে। তিন থেকে চার রাকআত বিশিষ্ট নামাজ হলে দ্বিতীয় রাকআতের বৈঠকে শুধু তাশাহহুদ পড়ে তৃতীয় রাকআতের জন্য আল্লাহু আকবার বলে উঠবে। আর সুন্নাতে মু্আক্কাদা বা নফল নামাজ হলে প্রথম বৈঠকে দরুদ এবং দোআয়ে মাছূরাও পড়ে তারপর ওঠা উত্তম। উল্লিখিত যে, এ নিয়ম অনুযায়ী প্রথম বৈঠকে দুরুদ এবং দোআয়ে মাছূরা পড়ে উঠলে তৃতীয় রাকআতে ছানা এবং সূরা ফাতেহার পূর্বে বিসমিল্লাহ-এর পূর্বে আউযুবিল্লাহ.ও পড়া উত্তম।
- তিন থেকে চার রাকআত বিশিষ্ট নামাজ ফরজ হলে তৃতীয়/চতুর্থ রাকআতের শুধু সুরা ফাতেহা পড়া উত্তম। আর ফরজ ব্যতীত অন্যান্য সকল নামাজে তৃতীয়/চতুর্থ রাকআতে সূরা/কিরাত মিলানো ওয়াজিব।
- শেষ বৈঠকে তাশাহহুদের পর দুরূদ শরীফ পড়া সুন্নত এবং দোআয়ে মাছুরা পড়া মুস্তাহাব।
লেখক এর মতামত
পুরুষ ও মহিলার নামাজ এর পার্থক্য নিয়ে উপরে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে।আপনাদের যদি আরো জানার প্রয়োজন হয় তাহলে অবিঙ্গ আলেম দের কাছ থেকে জেনে নিবেন।নামাজ নিয়ে আপনাদের কোন প্রশ্ন থাকলে কমেন্ট করে জানাতে পারেন।
নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url