জানাজার নামাজের নিয়ম যেনে নিন
জানাজার নামাজের নিয়ম গুলো নিয়ে আজকে আপনাদের সাথে সেয়া করবো।জানাজার নামাজের নিয়ম গুলো সকল মুসলমানদের জানা থাকা প্রয়োজন।
জানাজার নামাজের নিয়ম গুলো জানার জন্য পোষ্টটি মনোযোগদিয়ে পরবেন শেষ পর্যন্ত ১০০% জানাজার নামাজের নিয়ম সর্ম্পকে জানতে পারবেন।
পোস্টসূচীপত্র:জানাজার নামাজের নিয়ম যেনে নিন
- জানাজার নামাজের নিয়ম
- জানাজার নামাজের ফজিলত
- মৃত ব্যক্তির দাফন কাফন
- দাফন ও কাফনের কিছু বিধান
- কবার খননের নিয়মাবলী
- কাফনের কাপড় প্রস্তুতের নিয়ম
- মৃত ব্যক্তিকে গোসল প্রদানের তরিকা
- জানাযা বহন করার নিয়মসমূহ
- জানাজা বহন করার মুস্তাহাব তরিকা
- দাফনের নিয়ম পদ্ধতি
- দাফনের পর যা যা করণীয়
- মাইয়েতের পরিবারের সাথে অন্যদের যা যা করণীয়
- কবরের সাথে সংশ্লিষ্ট বিবিধ বিধি নিষেধ সমূহ
- লেখক এর মতামত
জানাজার নামাজের নিয়ম
প্রস্তুতি:মৃত ব্যক্তিকে গোসল করিয়ে কাফন পরিধান করিয়ে মসজিদের সামনে বা খোলা জায়গায় রাখা হয়।নামায পড়ানোর জন্য একজন ইমাম নির্ধারণ করা হয়।নামাযে অংশগ্রহণকারী সকলের পবিত্রতা অবশ্যই থাকতে হবে।
নিয়ত:মনে মনে নিয়ত করতে হবে," আল্লাহর ওয়াস্তে এই মাইয়েতের জন্য দোয়া করার উদ্দেশ্যে জানাজা নামাজের নিয়ত করছি।”
আরো পড়ুন : যাকাত দেওয়ার নিয়ম এবং যাকাতের মাসায়েল যেনে নিন
রাকাত:জানাজার নামাজে মোট চার রাকাত নামায পড়া হয়।
প্রথম রাকাত:কান পর্যন্ত হাত তুলে তাকবিরে তাহরিমা(আল্লাহু আকবর) বলতে হবে।সানা পড়তে
হবে।
দ্বিতীয়:তাকবির বলে দরুদ পাঠ করবেন।
তৃতীয়:তাকবির বলে দোয়া পড়বেন। মৃত ব্যক্তির জন্য মাগফিরাত ও জান্নাতের প্রার্থনা
করতে হবে।
চতুর্থ:তাকবির দিয়ে সালাম ফিরিয়ে তারপর নামাজ শেষ করতে
হবে।
দ্বিতীয়,তৃতীয় ও চতুর্থ রাকাত:প্রথম রাকাতের মতোই কাজ করতে হবে,তবে
দোয়া ভিন্ন হবে।
জানাজার নামাজের ফজিলত
- জানাজার নামাজ মৃত ব্যক্তির জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ আমল।
- জানাজার নামাজে অংশগ্রহণকারীদের জন্যও অনেক সওয়াব রয়েছে।
- জানাজার নামাজ মৃত ব্যক্তির গুনাহ মাফ করতে সাহায্য করে।
মৃত ব্যক্তির দাফন কাফন
কাফন:
মৃত ব্যক্তিকে গোসল করিয়ে পবিত্র করে সাদা কাপড় দিয়ে কাফন দেওয়া হয়।পুরুষদের জন্য তিন পরত কাপড় ব্যবহার করা হয়।মহিলাদের জন্য পাঁচ পরত কাপড় ব্যবহার করা হয়।কাফনের কাপড় পরিষ্কার,নতুন এবং সুগন্ধিযুক্ত হওয়া উচিত।কাফন পরিধান করানোর সময় মৃত ব্যক্তির প্রতি শ্রদ্ধাশীল আচরণ করা উচিত।
দাফন:
মৃত ব্যক্তিকে কিবলার দিকে মুখ করে মাটিতে সমাহিত করা হয়।কবরের গভীরতা এত হওয়া উচিত যাতে মৃত ব্যক্তি মাটিতে ডুবে যায়।কবর করার সময় দু'আ পড়া উচিত।মৃত ব্যক্তিকে সমাহিত করার পর তার উপরে মাটি দিয়ে ঢেকে দেওয়া হয়।কবরের উপরে একটি চিহ্ন স্থাপন করা যেতে পারে।
দাফন ও কাফনের কিছু বিধান
মৃত ব্যক্তিকে দ্রুত সমাহিত করা উচিত।মৃত ব্যক্তির সাথে কোন মূল্যবান জিনিসপত্র দেওয়া যাবে না।মৃত ব্যক্তির লাশ অন্য কোন উপায়ে ধ্বংস করা যাবে না।মৃত ব্যক্তির প্রতি শ্রদ্ধাশীল আচরণ করা উচিত।এ ছারাও আরো কিছুবিধান আছে আলেম দের কাছ থেকে যেনে নিবেন।
কবার খননের নিয়মাবলী
কবর মৃত ব্যক্তি এর সমপরিমাণ লম্বা হবে।যতটুকু লম্বা তার অর্ধেক পরিমাণ চওড়া হবে।মৃত ব্যক্তি এর দেহ যত লম্বা, কবর তত পরিমাণ গভীর হওয়া উত্তম,অন্তত তার অর্ধেক গভীর করলেও চলে।এরুপ কবরকে সিন্দুক কবর বলে।
আরো পড়ুন : শবে মেরাজ ও শবে বরাতের আমল যেনে নিন
আর যদি এই রূপ খনন করার পর কবরের নিচে কেবলার দিকে আর একটি ছোট
কোঠরির ন্যায় খনন করে তার মধ্যে মৃত ব্যক্তিকে রাখা হয় তাহলে তাকে বুগলী
কবর বা লাহদ বলে।সিন্দুকের চেয়ে এরূপ কবর করা উত্তম।
কবরের উপরিভাগ অন্তত ১ ফুট গভীরতা সহকারে একটু অধিক প্রশস্ত করে খনন করতে
হবে।এই স্থানে বাশ,কাঠ বা স্লিপার দিয়ে তার উপর মাটি দেয়া হবে।
কাফনের কাপড়ের বৈশিষ্ট্য:
- মৃত ব্যক্তিকে কাফনের কাপড় দেয়া ফরজে কেফায়া।
- মৃত ব্যক্তির জীবনের সাধারণত যে মানের কাপড় পরিধান করত,তার কাফনের কাপড়ও উক্ত মানের হওয়া উচিত।
- কাফন সাদা রংয়ের হওয়া উত্তম।
- কাফনের কাপড় পবিত্র হতে হবে।
- পুরুষের কাফনে তিনটা কাপড় হওয়া সুন্নাত।
- ১/ইজার:এটি মাথা থেকে পা পর্যন্ত লম্বা হয়।
- ২/লেফাফা বা চাদর:এটা ইজার থেকে ৪ গিরা (৯ ইঞ্চি) লম্বা হয়।
- ৩/কুর্তা বা জামা:হাতা কল্লীবিহীন,এটা গরদান থেকে পা পর্যন্ত লম্বা হয়।
- মহিলাদের কাফনে পাঁচটা কাপড় হওয়া সুন্নাত।উপরোক্ত তিনটা এবং
- ৪/সীনাবন্দ:এটা বগল থেকে রান পর্যন্ত হওয়া উত্তম।নাভি পর্যন্ত হলেও চলে।
- ৫/সারবন্ধ বা উড়না:এটি ৩ হাত লম্বা হয়।
কাফনের কাপড় প্রস্তুতের নিয়ম
উপরিউক্ত পরিমাণটি সাধারণত বড় মানুষের জন্য,ছোটদের জন্য ছোটদের জন্য সাইজ অনুযায়ী কাপড় কেটে নিতে হবে।সর্বমোট কাফনের কাপড় পুরুষের জন্য পৌনে আট গজ থেকে ৮ গজ এবং মহিলাদের জন্য সোয়া ১১ গজ থেকে সাড়ে ১১ গজ কাপড় লাগে।মহিলাদের গোসল ও দাফনের সময় পর্দা রক্ষার জন্য যে কাপড় ব্যবহার করা হয় সেটি এই হিসাবের বাহিরে।
মৃত ব্যক্তিকে গোসল প্রদানের তরিকা
মৃত ব্যক্তি পুরুষ হলে তাকে পুরুষ এবং মৃত ব্যক্তি মহিলা হলে তাকে মহিলা গোসল করাবে।আপনজন গোসল করানো উত্তম।গোসলের স্থান পর্দা ঘেরা হতে হবে।যে খাটিয়ার উপর গোসল দেয়া হবে সে খাটিয়াটি পরিষ্কার থাকতে হবে।মৃত ব্যক্তিকে এমনভাবে খাটিয়ায় শোয়াতে হবে যেন কেবলা তার ডান দিকে থাকে,সম্ভব না হলে যে কোনভাবে শোয়ানো যায়।
একটি লম্বা মোটা কাপড় দিয়ে মৃত ব্যক্তি সতর ঢেকে তার ভেতর থেকে শরীরের কাপড় খুলে নিতে হবে প্রয়োজনে কাপড় কেটে নিতে হবে।তোলা ভিজিয়ে তা দ্বারা ঠোট,দাঁত ও দাঁতের মাড়ি মুছে দিবে এবং উক্ত তোলা ফেলে দিবে।এভাবে তিনবার করতে হবে।
আরো পড়ুন : রোজা ভঙ্গের কারণ গুলো যেনে নিন
অতঃপর অনুরূপভাবে তিনবার নাকের দুই ছিদ্র পরিষ্কার করবে।তবে গোসলের প্রয়োজন অর্থাৎ ফরজ অবস্থায় মৃত্যু হলে অথবা মহিলার হায়েয নেফাস অবস্থায় মৃত্যু হলে মুখে এবং নাকে পানি দেয়া জরুরী।পানি দিয়ে কাপড় বা তোলা দ্বারা উক্ত পানি তুলে নেবে।মুখ এবং নাক ও কানের ছিদ্রে তুলা দিয়ে দিবে,যেন পানি ভিতরে প্রবেশ না করতে পারে।
ওজুর ন্যায় মুখ ও উভয় হাত ধৌত করাবে,মাথায় মাসেহ করাবে এবং উভয় পা ধৌত করাবে।মৃত ব্যক্তিকে বাম কাতে শুইয়ে বড়ই এর পাতা জালানো কুসুম গরম পানি দ্বারা মাথা থেকে পা পর্যন্ত ডান পাশে তিনবার এতোটুকু পানি ঢালতে হবে যেন নিচের দিকে বামপাশ পর্যন্ত পৌঁছে যায়।
আরো একটি দস্তানা পরিধান করে বা কাপড় হাতে পেঁচিয়ে সমস্ত শরীর কোন কাপড় ধারা মুছে শুকিয়ে নেবে।এরপর মৃত ব্যক্তিকে কাফনের কাপড় পরিধান করাবে।এটিই হলো মৃত ব্যক্তিকে গোসল দেয়ার সুন্নাত তরিকা।মৃত ব্যক্তিকে গোসল দেয়ার পর গোসলদাতার নিজেও গোসল করে নেয়া মুস্তাহাব।
জানাযা বহন করার নিয়মসমূহ
মৃত ব্যক্তি যদি দুধের শিশু হয় বা হাতে হাতে বহনযোগ্য হয় তাহলে ছোট হলে পর্যায়ক্রমে হাতে হাতে থাকে বহন করে নিয়ে যাবে।আর বড় হলে কোন খাটিয়া প্রভৃতিতে শুইয়ে নিয়ে যাবে,মাথা থাকবে সামনের দিকে।খাটিয়ার চার পায়াকে চারজন উঠাবে।খাটিয়ার পায়াকে হাত দ্বারা উঠিয়ে কাঁধের উপর রাখবে।করো স্থান দূর ইত্যাদি কোন ওজর না থাকলে জানাজা গাড়ি বা সাওয়ারিতে উঠিয়ে নেওয়া মাকরুহ।
জানাজা বহন করার মুস্তাহাব তরিকা
প্রথমে মৃত ব্যক্তিকে ডান দিকের সম্মুখ পায়া হাত দিয়ে নিজের ডান কাঁদে উঠিয়ে কমপক্ষে দশ কদম চলতে হবে।এরূপ ডান দিকের পায়া ডান কাঁদে এবং বাম দিকের দুই পায়া বাম কাঁধে রেখে দশ কদম চলতে হবে।জানাজা নিয়ে দ্রুত কদমে চলা সুন্নাত।তবে দৌড়ে নয় কিংবা খুব দ্রুত নয়।
সঙ্গীরা জানাজা ডানে বায়ে নয় বরং পশ্চাতে চলবে।সঙ্গীদের পায়ে হেটে চলা মুস্তাহাব।কোন বাহনে থাকলেও জানাজার পশ্চাতে চলতে হবে।জানাযা বহনকারী সঙ্গীগণ কোন দোয়া,জিকির শব্দ করে পড়বে না।শব্দ করা মাকরুহ।জানাজা কাধ থেকে রাখার পূর্বে কেউ বসবে না।
দাফনের নিয়ম পদ্ধতি
সাধারণত কবরস্থানে দাফন করা সুন্নাত।কোন ব্যক্তি যে স্থানে মারা যায় সেই এলাকার কবরস্থানে মৃত ব্যক্তিকে দাফন করা সুন্নাত।অন্যত্র ২-৩ মাইলের অধিক দূরে লাশ স্থানান্তর করা সুন্নাতের খেলাফ।প্রয়োজনে কবরের জন্য জমি ক্রয়ের অনুমতি রয়েছে।মৃত ব্যক্তিকে কেবলামুখী করে ডান কাতে শুইয়ে দেয়া সুন্নাত।চিত করে শুইয়ে শুধু মুখ কেবলামুখী করে দেয়া যথেষ্ট না।
কবরে রাখার পর কাফন খুলে যাওয়ার আশঙ্কায় যে গিরা দেয়া হয় তা খুলে দিতে হবে।মহিলাকে কবরে রাখার সময় পর্দা করে নেয়া মুস্তাহাব।আর মৃত ব্যক্তির শরীর প্রকাশ পাওয়ার আশঙ্কা থাকলে পর্দা করা ওয়াজিব।বুগলী বা লাহদ কবর হলে কাঁচা ইট,বাশ প্রভৃতি দ্বারা বন্ধ করবে আর সিন্দুক কবর হলে কাঠ,বাশ বা স্লিপার দিয়ে ঢেকে দিবে এবং ফাঁকগুলো বন্ধ করে দিবে।
আরো পড়ুন : তারাবির নামাজের দোয়া
কবরের পিঠ উটের পিঠের ন্যায় এক বিঘৎ বা তার চেয়ে কিছু বেশি পরিমাণ উঁচু করে বানানো মুস্তাহাব।মাটি দেয়ার সম্পন্ন হওয়ার পর সর্বশেষে কবরের মাটি জমানোর জন্য কবরের উপর পানি ছিটিয়ে দেয়া মুস্তাহাব।নিতান্তই অপারগতা ছাড়া এক কবরে একাধিক লাশ দাফন করা যাবে না।যত তাড়াতাড়ি সম্ভব দাফন কাফন সম্পন্ন করা উত্তম।এমনকি জানাযায় অধিক লোক হবে এজন্য বিলম্ব করা সুন্নাতের খেলাফ।
দাফনের পর যা যা করণীয়
দাফন সম্পন্ন হওয়ার পরে কবরে নিকটে কিছুক্ষণ অবস্থান করে মৃতের ক্ষমার জন্য দোয়া করবে অথবা কুরআন শরীফ পাঠ করে সওয়াব পৌঁছে দিবে।এরূপ করা মুস্তাহাব।মৃত ব্যক্তি যেন মুনকার নাকীরের প্রশ্ন উত্তর দিতে সক্ষম হয় তার জন্য দোয়া করবে। এরুপ করা সুন্নাত।
মাইয়েতের পরিবারের সাথে অন্যদের যা যা করণীয়
ইসলামী শরিয়ত অনুযায়ী,একজন মুসলিমের মৃত্যুর পর তার পরিবারের প্রতি সহানুভূতিশীল আচরণ করা এবং তাদের সাহায্য করা একটি গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব।মাইয়েতের পরিবারের সাথে অন্যদের যা যা করণীয়:সমবেদনা প্রকাশ:
- মৃত ব্যক্তির পরিবারের প্রতি সমবেদনা ও সান্ত্বনা জ্ঞাপন করা উচিত।
- মৃত ব্যক্তির প্রতি শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করে তাকে স্মরণ করা উচিত।
- মৃত ব্যক্তির পরিবারের প্রতি সহানুভূতি ও সহানুভূতি প্রকাশ করা উচিত।
সাহায্য প্রদান:
মৃত ব্যক্তির পরিবারের জন্য প্রয়োজনীয় সাহায্য প্রদান করা উচিত।মৃত ব্যক্তির গোসল,কাফন ও দাফনের ব্যবস্থা করতে সাহায্য করা উচিত।
মৃত ব্যক্তির পরিবারের জন্য খাবার ও পানীয়ের ব্যবস্থা করা উচিত।
দোয়া ও তাজিয়া:
- মৃত ব্যক্তির জন্য দোয়া করা উচিত।
- মৃত ব্যক্তির স্মরণে তাজিয়া মাহফিলের আয়োজন করা যেতে পারে।
- মাইয়েতের পরিবারের সাথে আচরণ করার সময় কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয়:
- মৃত ব্যক্তির পরিবারের প্রতি সম্মান প্রদর্শন করা উচিত।
- মৃত ব্যক্তির পরিবারের প্রতি ধৈর্য ধরা উচিত।
- মৃত ব্যক্তির পরিবারের প্রতি সহানুভূতিশীল হওয়া উচিত।
- মৃত ব্যক্তির পরিবারের প্রতি নেতিবাচক মন্তব্য করা উচিত নয়।
কবরের সাথে সংশ্লিষ্ট বিবিধ বিধি নিষেধ সমূহ
কবরের উপর দিয়ে চলা,বসা এবং কবরের সাথে হেলান দেয়া থেকে বিরত থাকা
সুন্নাত।কবরের দেয়াল পাকা করা,কবরের উপর গম্বুজ বানানো বা যে কোন ধরনের
ইমারত বানানো থেকে বিরত থাকা।সৌন্দর্যের উদ্দেশ্যে এরূপ করা হারাম এবং মজবুত
বানানোর উদ্দেশ্য হলে তা মাকরুহ তাহরীমী,যা হারামের নিকটবর্তী।
- কবর বসে গেলে তাতে দ্বিতীয়বার মাটি দেয়া যায়।
- কবরে বাতি জ্বালানো নিষিদ্ধ।
- কবরে ফুল দেয়া নিষিদ্ধ ও বিদআত।
- চেনার জন্য কবরের উপরে কোন পাথর ইত্যাদি আলামত হিসাবে রাখা যায়।
- প্রয়োজনে কবরে নাম-ফলক স্থাপন করা যায়,তবে তাতে কুরআনের কথা লেখা নাজায়েজ।
- কবর বা বুজুর্গদের মাজারে চাদর চরানো নিষিদ্ধ ও হারাম কাজ।
- কোন মাজারে মানত মানা ও নযর প্রদান করা হারাম।
- মাজারে টাকা পয়সা প্রদান করা হারাম।
লেখক এর মতামত
জানাজার নামাজের নিয়ম এবং জানাজার নামাজের মৃত ব্যাক্তির করনিয় কি এ বিষয় গুলোনিয়ে আলোচনা করা হল।জানাজার নামাজের নিয়ম কানন নিয়ে যদি আপনাদের দিমত থাকে তাহলে আলেম দের কাছথেকে পরামর্শ নিয়ে নিবেন।
নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url