নিয়মিত ব্যায়াম করার উপকার

ব্যায়াম হলো শারীরিক কার্যকলাপ যা ফিটনেস এবং সামগ্রিক স্বাস্থ্যকে উন্নত বা বজায় রাখে।সুস্থভাবে জীবনযাবন করতে দরকার সুস্বাস্থ্য।আর এই সুস্বাস্থ্যের পেছনে ব্যায়াম এর অবদান রয়েছে।

নিয়মিত-ব্যায়াম

নিয়মিত ব্যায়াম করলে মানুষের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাবারে।নিয়মিত ব্যায়াম শুধু শারীরিক,মানসিক সুস্থতা এনে দেয়।

পোস্টসূচীপত্র:নিয়মিত ব্যায়াম করার উপকার 

চলুন জেনে নেওয়া যাক নিয়মিত ব্যায়াম করার কিছু উপকারিতা

১।নিয়মিত ব্যায়াম খুবই উপকারী শারীরিক ফিটনেস ও ভালো স্বাস্থ্যের জন্য।রোগ মানুষের বড় শত্রু।আমরা সবাই সারাক্ষণ রোগ মুক্তির উপায় খুঁজে থাকি।পৃথিবীতে এমন কোনো মানুষ খুঁজে পাওয়া সম্ভব নয় যিনি রোগে আক্রান্ত হন নি।

আরো পড়ুন : ডায়াবেটিস রোগের চিকিৎসা

পৃথিবীর সব মানুষই কোনোনা কোনোভাবে রোগে আক্রান্ত হয়েছে।ব্যয়াম করার মাধ্যমে রোগ প্রতিরোধ করা সম্ভব। ব্যায়াম দাড়া অনেক রোগ প্রতিরোধ করা যায়।ব্যয়াম করার মাধ্যমে হৃদরোগ,উচ্চ রক্তচাপ,ডায়াবেটিকস,ক্যান্সার ও অন্যান্য বড় বড় রোগ হওয়ার ঝুঁকি কমায়।এছাড়াও ব্যায়াম চেহারার আবেদন বাড়াতে এবং দ্রুত বুড়িয়ে যাওয়া ঠেকাতে সাহায্য করে।সুন্দর ও সুস্থভাবে বেঁচে থাকতে ব্যয়াম এর কোনো বিকল্প নেই।
২।মানসিক শক্তি বাড়াতে ব্যায়াম এর কোনো বিকল্প নেই।ব্যায়াম মানসিক শক্তি বৃদ্ধিতে সাহায্য করে।স্থূল, চর্বিযুক্ত ও কায়িক পরিশ্রমহীন শরীর হয়ে থাকেল অল্প শারীরিক শ্রমেই অধিক ক্লান্ত হয়ে পড়তে হয়।ব্যায়াম করলে শরীরের শক্তি ব্যয় হয়।নিয়মিত ব্যায়াম করলে কম ক্লান্তিতেই অধিক পরিমাণে কাজ করা সম্ভব। কঠিন কঠিন কাজও খুব সহজেই করে ফেলা সম্ভব।
৩।আজকালকার খুবই একটা কমন রোগ হচ্ছে অতিরিক্ত ওজন।আমরা অতিরিক্ত ওজন নিয়ে খুবই টেনশন এ থাকি।সুস্থ থাকার আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ ব্যাপার হলো ফিটনেস বজায় রাখা।আর এই ফিটনেস বজায় রাখতে অতিরিক্ত ওজন ও মেদ ঝরিয়ে ফেলতে হবে।অতিরিক্ত ওজন কমাতে ব্যায়াম গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।শারীরিক চর্চা করলে ক্যালোরি খরচ হয়,যার ফলে আমাদের শরীরের ওজন নিয়ন্ত্রণ এ থাকে।
৪।নিয়মিত ব্যায়াম করলে বিষন্নতা ও হতাশা থেকে দূরে থাকা যায়।ব্যায়াম করলে বিষন্নতা ও হতাশা কেটে যায়।শরীর ও মন ভালো থাকে।ব্যায়াম এর মাধ্যমে নানা রকম রাসায়নিক পদার্থ মস্তিষ্ক থেকে নির্গত হয়।
৫।ব্যায়াম শরীরকে করে শক্তিশালী।ব্যায়াম প্রতিটি পেশীকে আলাদা আলাদাভাবে গড়ে তোলে।একজন ব্যক্তি যেভাবে তার পেশীকে শক্তিশালী করতে চায় ব্যায়ামের মাধ্যমে তার ইচ্ছামত সেভাবেই করতে পারবে।
৬।শারীরিক ও মানসিকভাবে অসুস্থ থাকলে কাজের প্রতি অনিহা সৃষ্টি হয়।কাজের প্রতি মনোযোগ কমে যায়।ব্যায়ামের ফলে শরীরের প্রতিটি কোষে অক্সিজেন ও পুষ্টি সরবরাহ হয়।কাজের প্রতি মনোযোগ বৃদ্ধি পায়।
৭।যাদের ঘুমের সমস্যা আছে তাদের জন্য ব্যায়াম খুবই উপকারী।শরীর ক্লান্ত থাকলে গাঢ় ও গভীর ঘুম হয়।ব্যায়াম অনিদ্রা দূর করে,অতি নিদ্রা হ্রাস করে।নিদ্রিষ্ট সময়ে পর্যাপ্ত ব্যায়াম করতে হয়।

আরো পড়ুন : পর্যাপ্ত ঘুমের উপকারিতা জেনে নিন

এছাড়াও ব্যায়াম করলে শরীরের শক্তি বৃদ্ধি পায় এবং মাংসপেশি সবল ও হাড়ের সবলতা বৃদ্ধি পায়।ব্যায়াম শরীরের ভারসাম্য বৃদ্ধিতেও সাহায্য করে।এসব ব্যায়াম এর উদাহরণ হলো-পুশআপ,পুলআপ, বাইসেব কার্লস ইত্যাদি।ফাংশনাল প্রশিক্ষণ,ভার উত্তোলন ইত্যাদিও এ জাতীয় ব্যায়াম এর অন্তর্ভুক্ত।শরীর সুস্থ ও সুন্দর রাখতে ব্যায়াম এর কোনো বিকল্প নেই।

লেখক এর মতামত

নিয়মিত ব্যায়াম করলে শরীরি সুস্থ থাকে মন মানসিকতা ভাল থাকে,শরীরে রোগ প্রতিরোত ক্ষমতা বারে এরকম আরো অনেক উপকার পাবেন যদি আপনি নিয়মিত ব্যায়াম করেন।ত নিজেকে সুস্থ রাখার জন্য নিয়মিত ব্যায়াম করুন।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url