গুগল সার্চ ইঞ্জিনে ফ্রেন্ডলি ব্লগে আর্টিকেল লেখার নিয়ম
গুগল সার্চ ইঞ্জিনে আপনার ওয়েবসাইট বা ব্লগকে সফলভাবে স্থান পেতে হলে এসইও (সার্চ ইঞ্জিন অপ্টিমাইজেশন) ফ্রেন্ডলি কনটেন্ট তৈরি করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।গুগল সার্চ ইঞ্জিন ব্যবহারকারীদের সবচেয়ে উপযোগী ও মানসম্মত তথ্য সরবরাহ করতে চায়,
তাই তারা সেইসব কনটেন্টকে উপরের দিকে দেখায় যা ব্যবহারকারীর অনুসন্ধানের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ।এই প্রক্রিয়ায় ব্লগে আর্টিকেল লেখার নিয়ম জানতে হলে কিছু নির্দিষ্ট কৌশল এবং নিয়ম অনুসরণ করতে হবে।গুগল সার্চ ইঞ্জিন ফ্রেন্ডলি আর্টিকেল লেখার নিয়ম নিয়ে আলোচনা করা হবে।পোস্টসূচীপত্র:গুগল সার্চ ইঞ্জিনে ফ্রেন্ডলি ব্লগে আর্টিকেল লেখার নিয়ম
- আর্টিকেল লেখা কি?
- কীওয়ার্ড গবেষণা
- মানসম্মত ও মৌলিক কনটেন্ট তৈরি
- কনটেন্ট স্ট্রাকচার ও ফরম্যাটিং
- অনপেজ এসইও অপটিমাইজেশন
- মোবাইল ফ্রেন্ডলি ডিজাইন
- লিংক বিল্ডিং ও অভ্যন্তরীণ লিংকিং
- ব্যবহারকারীর অভিজ্ঞতা (User Experience)
- কনটেন্ট নিয়মিত আপডেট করা
- আর্টিকেল লেখার নিয়ম
- ইংরেজি আর্টিকেল লেখার নিয়ম
- যেকোনো ছবি দিয়ে ছবি সম্পর্কিত আর্টিকেল লেখার নিয়ম
- লেখক এর মতামত
আর্টিকেল লেখা কি?
ব্লগে আর্টিকেল লেখার নিয়ম গুলো যেনে নিন এবং আর্টিকেল কি যেনে নিন,আর্টিকেল লেখা হলো কোনো নির্দিষ্ট বিষয় নিয়ে সুসংগত ও তথ্যপূর্ণ লেখা রচনা করা।এটি সাধারণত কোনো নির্দিষ্ট উদ্দেশ্যে লেখা হয়,যেমন:পাঠকদের জানাতে,বোঝাতে,মনোরঞ্জন করতে বা প্রভাবিত করতে।আর্টিকেল বিভিন্ন ধরনের হতে পারে,নিচে কয়েকটি উধাহরণ দেওয়া হল:
- সংবাদ প্রতিবেদন:কোনো ঘটনা,বিষয় বা ব্যক্তির সম্পর্কে তাৎক্ষণিক তথ্য দেওয়া।
- বৈশিষ্ট্য প্রতিবেদন:কোনো ব্যক্তি,স্থান বা বিষয়ের গভীর বিশ্লেষণ।
- মতামত প্রতিবেদন:লেখকের নিজস্ব মতামত ও দৃষ্টিভঙ্গি তুলে ধরা।
- গবেষণামূলক প্রতিবেদন:কোনো বিষয় নিয়ে গবেষণা করে তার ফলাফল উপস্থাপন করা।
- ব্লগ পোস্ট:ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা,আগ্রহ বা বিশেষজ্ঞতা ভাগ করে নেওয়া।
আর্টিকেল লেখার উদ্দেশ্য
- তথ্য প্রদান:পাঠককে কোনো বিষয় সম্পর্কে সঠিক ও বিস্তারিত তথ্য দেওয়া।
- মতামত গঠন:পাঠককে নিজের মতামত গঠনে সাহায্য করা।
- মনোরঞ্জন:পাঠককে মনোরঞ্জন দিয়ে তাদের আগ্রহ বজায় রাখা।
- প্রভাবিত করা:পাঠককে কোনো কাজ করার জন্য অনুপ্রাণিত করা।
আর্টিকেল লেখার গুরুত্ব
আর্টিকেল লেখা আমাদের জীবনের বিভিন্ন ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন
করে।নিচে কয়েকটি কারণ উল্লেখ করা হল:
- জ্ঞান বৃদ্ধি করে:নতুন তথ্য ও ধারণা শেখার সুযোগ দেয়।
- ভাবনা চিন্তার বিকাশ ঘটায়:বিভিন্ন বিষয় নিয়ে চিন্তা করতে এবং নিজের মতামত গঠন করতে সাহায্য করে।
- ভাষা দক্ষতা বৃদ্ধি করে:সঠিক ভাষায় নিজের মতামত প্রকাশ করার ক্ষমতা বাড়ায়।
- সৃজনশীলতা বিকাশ করে:নতুন ধারণা ও ভাবনা তৈরি করার সুযোগ দেয়।
- সমস্যা সমাধানের দক্ষতা বাড়ায়:বিভিন্ন সমস্যার সমাধানের জন্য নতুন উপায় খুঁজে বের করতে সাহায্য করে।
কীওয়ার্ড গবেষণা
ব্লগে আর্টিকেল লেখার নিয়ম গুলোর মধ্যে,গুগল সার্চ ইঞ্জিন ফ্রেন্ডলি আর্টিকেল লেখার প্রথম ধাপ হলো কীওয়ার্ড গবেষণা।কীওয়ার্ড গবেষণার মাধ্যমে আপনি বুঝতে পারবেন,কোন ধরনের তথ্য ব্যবহারকারীরা খুঁজছেন।আপনি আপনার কনটেন্টে সেই কীওয়ার্ডগুলো অন্তর্ভুক্ত করবেন,যা সার্চ ইঞ্জিনে উচ্চ অনুসন্ধান পাওয়া যায় এবং আপনার ওয়েবসাইটের বিষয়বস্তুর সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ।
আরো পড়ুন : ডিজিটাল মার্কেটিং ছোট ব্যবসার জন্য কতটুকু গুরুত্ত পূর্ণ
- লং-টেল কীওয়ার্ড ব্যবহার করুন:সাধারণ কীওয়ার্ডের পাশাপাশি লং-টেল কীওয়ার্ড ব্যবহার করতে হবে।লং-টেল কীওয়ার্ড হলো ৩-৪টি শব্দের সমন্বয়ে তৈরি একটি বাক্যাংশ,যা খুব নির্দিষ্ট এবং সরাসরি ব্যবহারকারীর অনুসন্ধানের সাথে সংযুক্ত থাকে।
মানসম্মত ও মৌলিক কনটেন্ট তৈরি
- উপকারী কনটেন্ট:কেবল কীওয়ার্ড দিয়ে কনটেন্ট ভরাট করবেন না।কনটেন্টকে ব্যবহারকারীর জন্য উপকারী ও তথ্যবহুল করতে হবে।কনটেন্টটি এমনভাবে তৈরি করুন যেন ব্যবহারকারীর প্রশ্নের সমাধান দেয়।
- কনটেন্টের দৈর্ঘ্য:দীর্ঘ কনটেন্ট সাধারণত ছোট কনটেন্টের তুলনায় ভালো পারফর্ম করে।তবে কনটেন্টের দৈর্ঘ্য বাড়ানোর জন্য অপ্রয়োজনীয় তথ্য দেবেন না।প্রতিটি বাক্য যেন কনটেন্টের গুণগত মান বাড়ায়, তা নিশ্চিত করতে হবে।
- কপিরাইট থেকে দূরে থাকুন:কনটেন্টে কোন ধরনের প্লেজারিজম বা কপিরাইট সমস্যা যেন না থাকে,তা নিশ্চিত করতে হবে। গুগল মৌলিক কনটেন্টকে বেশি গুরুত্ব দেয়।
কনটেন্ট স্ট্রাকচার ও ফরম্যাটিং
গুগল ফ্রেন্ডলি কনটেন্ট লেখার জন্য সঠিক স্ট্রাকচার ও ফরম্যাটিং অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।সঠিকভাবে স্ট্রাকচার করা কনটেন্ট ব্যবহারকারীর জন্য পড়তে সহজ এবং গুগল র্যাংকিং করার সময় এ ধরনের কনটেন্টকে গুরুত্ব দেয়।
- হেডিং এবং সাবহেডিং:কনটেন্টে উপযুক্ত শিরোনাম ব্যবহার করতে হবে।H1,H2,H3,H4 ইত্যাদি ব্যবহার করে কনটেন্টকে বিভিন্ন অংশে ভাগ করুন।শিরোনাম ও সাবহেডিংয়ে কীওয়ার্ড অন্তর্ভুক্ত করুন।
- প্যারাগ্রাফ এবং বুলেট পয়েন্ট:লম্বা প্যারাগ্রাফ এড়িয়ে চলুন।ছোট ছোট প্যারাগ্রাফে কনটেন্ট ভাগ করুন যাতে পাঠক সহজে বুঝতে পারে।বুলেট পয়েন্ট ব্যবহার করুন তথ্য উপস্থাপন করার জন্য।
- ইমেজ এবং মিডিয়া:কনটেন্টে প্রয়োজন অনুযায়ী ইমেজ,ভিডিও বা ইনফোগ্রাফিক্স যুক্ত করুন।এতে কনটেন্টের মান বৃদ্ধি পাবে এবং ব্যবহারকারীদের আকর্ষণ করবে।
অনপেজ এসইও অপটিমাইজেশন
ব্লগে আর্টিকেল লেখার নিয়ম গুলোর পাশাপাশি অনপেই এবং অপপেইজ এসইও সর্ম্পকে জানতে হবে। অনপেজ এসইও হলো ওয়েব পৃষ্ঠার বিভিন্ন উপাদানকে সার্চ ইঞ্জিনের জন্য অপটিমাইজ করা।এটি গুগল ফ্রেন্ডলি আর্টিকেল তৈরির অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ অংশ।
আরো পড়ুন : ফ্রিতে টাকা ইনকাম করার অ্যাপস গুলো যেনে নিন
- মেটা টাইটেল এবং মেটা ডেসক্রিপশন:মেটা টাইটেল ও মেটা ডেসক্রিপশন একটি পৃষ্ঠার সারাংশ প্রকাশ করে।এতে প্রাথমিক কীওয়ার্ড অন্তর্ভুক্ত করুন এবং ব্যবহারকারীর জন্য আকর্ষণীয় করুন।
- ইউআরএল স্ট্রাকচার:পৃষ্ঠার ইউআরএলকে সংক্ষিপ্ত ও অর্থবহ করুন।ইউআরএলে প্রাথমিক কীওয়ার্ড যুক্ত করতে পারেন।
- ইমেজ অপটিমাইজেশন:ইমেজ ফাইলের নাম এবং alt ট্যাগে কীওয়ার্ড অন্তর্ভুক্ত করুন।ইমেজ সাইজকে এমনভাবে কমিয়ে আনুন যাতে লোডিং টাইম কম হয়,কিন্তু ইমেজের মান ক্ষতিগ্রস্ত না হয়।
মোবাইল ফ্রেন্ডলি ডিজাইন
গুগল এখন মোবাইল ফার্স্ট ইনডেক্সিং অনুসরণ করে।অর্থাৎ,গুগল প্রথমে মোবাইল ভার্সনে পৃষ্ঠার কনটেন্টকে ক্রল করে এবং র্যাংকিং নির্ধারণ করে।তাই,কনটেন্ট এমনভাবে ডিজাইন করতে হবে যাতে মোবাইল ব্যবহারকারীরা সহজেই অ্যাক্সেস করতে পারে।
- মোবাইল রেসপন্সিভ ডিজাইন:নিশ্চিত করুন যে আপনার ওয়েবসাইট বা ব্লগ মোবাইল রেসপন্সিভ। অর্থাৎ, পৃষ্ঠার কনটেন্ট মোবাইল ডিভাইসেও সঠিকভাবে প্রদর্শিত হবে।
- ফাস্ট লোডিং টাইম:পৃষ্ঠার লোডিং টাইম খুবই গুরুত্বপূর্ণ।মোবাইল ব্যবহারকারীদের জন্য দ্রুত লোডিং পেজ তৈরি করতে হবে।
লিংক বিল্ডিং ও অভ্যন্তরীণ লিংকিং
গুগল ফ্রেন্ডলি কনটেন্ট তৈরির জন্য অভ্যন্তরীণ এবং বহিঃস্থ লিংকিং খুবই গুরুত্বপূর্ণ।লিংক বিল্ডিং আপনার ওয়েবসাইটের কর্তৃত্ব এবং বিশ্বস্ততা বাড়ায়।
- অভ্যন্তরীণ লিংকিং:কনটেন্টের মধ্যে অন্যান্য প্রাসঙ্গিক পেজের লিংক অন্তর্ভুক্ত করুন।এটি ব্যবহারকারীদের সাইটে দীর্ঘ সময় ধরে রাখতে সাহায্য করে এবং গুগলের কাছে আপনার সাইটকে আরও গুরুত্বপূর্ণ হিসেবে উপস্থাপন করে।
- বহিঃস্থ লিংকিং:আপনার কনটেন্টে বিশ্বাসযোগ্য বহিঃস্থ সাইটের লিংক ব্যবহার করুন।এটি আপনার কনটেন্টকে আরও বিশ্বাসযোগ্য করে তুলবে এবং গুগল র্যাংকিং উন্নত করবে।
ব্যবহারকারীর অভিজ্ঞতা (User Experience)
গুগল সবসময় চেষ্টা করে ব্যবহারকারীদের অভিজ্ঞতা (UX) উন্নত করতে।কনটেন্ট
এমনভাবে তৈরি করতে হবে যাতে ব্যবহারকারীরা সহজেই তা ব্যবহার করতে পারে এবং
কনটেন্টে খুশি থাকে।
আরো পড়ুন : অন লাইনে টাকা ইনকাম ফেসবুক পেজ থেকে যেনে নিন
- নেভিগেশন সহজ করুন:আপনার ওয়েবসাইট বা ব্লগে সহজ নেভিগেশন ব্যবস্থা নিশ্চিত করুন। ব্যবহারকারীরা যেন সহজেই তাদের প্রয়োজনীয় তথ্য খুঁজে পায়।
- রিডেবিলিটি:কনটেন্টের রিডেবিলিটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ।সহজ এবং সুগঠিত বাক্য ব্যবহার করুন যাতে ব্যবহারকারীরা সহজেই পড়তে এবং বুঝতে পারে।
কনটেন্ট নিয়মিত আপডেট করা
- বিষয়ের পরিবর্তন:আপনার কনটেন্টের বিষয় যদি সময়ের সাথে সাথে পরিবর্তন হয়, তাহলে সেই অনুযায়ী কনটেন্ট আপডেট করতে হবে।
- নতুন তথ্য যোগ করা:কনটেন্টে নতুন গবেষণা, তথ্য বা উন্নত প্রযুক্তির ওপর ভিত্তি করে আপডেট যোগ করতে হবে।
আর্টিকেল লেখার নিয়ম
আর্টিকেল লেখা শুধুমাত্র তথ্য উপস্থাপন নয়,এটি একটি কলা।একটি ভালো আর্টিকেল পাঠককে আকৃষ্ট করে, তাকে ভাবতে বাধ্য করে এবং তার মনে কোনো প্রভাব ফেলে।আসুন জেনে নিই আর্টিকেল লেখার কিছু গুরুত্বপূর্ণ নিয়ম:
বিষয় নির্বাচন ও গবেষণা:
- আপনার আগ্রহের বিষয়:আপনি যার উপর ভালোভাবে জানেন এবং যার প্রতি আগ্রহী, সেই বিষয়টিই বেছে নিন।
- লক্ষ্যমাত্রা:কাকে লক্ষ্য করে আপনি লেখছেন,তা নির্ধারণ করুন।তাদের ভাষা ও আগ্রহের বিষয় মাথায় রাখুন।
- গবেষণা:বিষয়টি সম্পর্কে বিস্তারিত জানার জন্য বিভিন্ন সূত্র থেকে তথ্য সংগ্রহ করুন।
রূপরেখা তৈরি:
- মূল বিষয়:আর্টিকেলের মূল বিষয়টি নির্ধারণ করুন।
- উপবিষয়:মূল বিষয়কে কয়েকটি উপবিষয়ে ভাগ করুন।
- পরিচ্ছেদ:প্রতিটি উপবিষয়ের জন্য একটি করে পরিচ্ছেদ নির্ধারণ করুন।
- উপসংহার:আর্টিকেলের শেষে একটি উপসংহার দিয়ে সারসংক্ষেপ করুন।
আকর্ষণীয় শিরোনাম:
- সংক্ষিপ্ত ও স্পষ্ট:শিরোনাম যেন বিষয়টির মূল কথা বুঝিয়ে দেয়।
- কৌতূহল জাগানো:শিরোনাম এমন হওয়া উচিত যাতে পাঠক আরও জানতে উৎসুক হয়।
পরিষ্কার ও সহজ ভাষা:
- সরল ভাষা:জটিল শব্দ ও বাক্যের পরিবর্তে সহজ ও সরল ভাষা ব্যবহার করুন।
- উদাহরণ:জটিল ধারণাগুলোকে উদাহরণ দিয়ে ব্যাখ্যা করুন।
- সংক্ষিপ্ত পরিচ্ছেদ:পরিচ্ছেদগুলো খুব লম্বা না করে সংক্ষিপ্ত রাখুন।
তথ্যের সত্যতা যাচাই:
- বিশ্বস্ত সূত্র:তথ্য সংগ্রহের সময় বিশ্বস্ত সূত্র থেকে তথ্য নিন।
- পুনঃযাচাই:কোনো তথ্য ব্যবহার করার আগে তা পুনঃ যাচাই করে নিন।
সুসংগততা:
- পরিচ্ছেদের মধ্যে সম্পর্ক:প্রতিটি পরিচ্ছেদ যেন আগের পরিচ্ছেদের সাথে যুক্ত থাকে।
- তর্কের ধারাবাহিকতা:তর্কের ধারাবাহিকতা বজায় রাখুন।
ভুল শোধন:
- বানান ও ব্যাকরণ:লেখাটি লিখে শেষ করার পর ভালোভাবে বানান ও ব্যাকরণ পরীক্ষা করুন।
- পুনরাবৃত্তি:কোনো শব্দ বা বাক্য বারবার ব্যবহার করা এড়িয়ে চলুন।
উপসংহার:
- মূল বিষয়ের সংক্ষিপ্তসার:আর্টিকেলের শুরুতে উত্থাপিত প্রশ্নের উত্তর দিয়ে উপসংহার করুন।
- মূল বক্তব্য:আর্টিকেলের মূল বক্তব্যটি স্পষ্ট করে বলা উচিত।
পাঠকের সাথে যোগাযোগ:
- প্রশ্ন:পাঠকের সাথে যোগাযোগ স্থাপন করার জন্য প্রশ্ন করুন।
- উদ্বুদ্ধ করা:পাঠককে নিজের মতামত দেওয়ার জন্য উদ্বুদ্ধ করুন।
পুনর্বার পড়া:
- সম্পাদনা:লেখাটি একাধিকবার পড়ে দেখুন কোথাও কোনো ভুল আছে কি না।
- সুধারণ:প্রয়োজনীয় সংশোধন করে লেখাটিকে আরও ভালো করে তুলুন।
ইংরেজি আর্টিকেল লেখার নিয়ম
বাংলাতে যেমন আর্টিকেল লেখার নির্দিষ্ট নিয়ম আছে, তেমনি ইংরেজি আর্টিকেল লেখার নিয়ম আছে।এই নিয়মগুলি মেনে চললে আপনি আরও ভালো ও পেশাদারিপূর্ণ ইংরেজি আর্টিকেল লিখতে পারবেন।নিচে ইংরেজি আর্টিকেল লেখার নিয়ম গুলো নিয়ে আলোচনা করা হল:
আরো পড়ুন : অনলাইনে টাকা ইনকাম করার সহজ উপায়
বিষয় নির্বাচন ও গবেষণা
- আপনার আগ্রহের বিষয়:আপনার যার উপর ভালো জ্ঞান আছে এবং যার প্রতি আগ্রহী,সেই বিষয়টিই বেছে নিন।
- লক্ষ্যমাত্রা:কাকে লক্ষ্য করে আপনি লেখছেন,তা নির্ধারণ করুন।তাদের ভাষা ও আগ্রহের বিষয় মাথায় রাখুন।
- গবেষণা: বিষয়টি সম্পর্কে বিস্তারিত জানার জন্য বিভিন্ন সূত্র থেকে তথ্য সংগ্রহ করুন।ইংরেজি উইকিপিডিয়া,গুগল স্কলার,বই,জার্নাল ইত্যাদি ভালো উৎস হতে পারে।
রূপরেখা তৈরি
- মূল বিষয়:আর্টিকেলের মূল বিষয়টি নির্ধারণ করুন।
- উপবিষয়:মূল বিষয়কে কয়েকটি উপবিষয়ে ভাগ করুন।
- পরিচ্ছেদ:প্রতিটি উপবিষয়ের জন্য একটি করে পরিচ্ছেদ নির্ধারণ করুন।
- উপসংহার:আর্টিকেলের শেষে একটি উপসংহার দিয়ে সারসংক্ষেপ করুন।
আকর্ষণীয় শিরোনাম
- সংক্ষিপ্ত ও স্পষ্ট:শিরোনাম যেন বিষয়টির মূল কথা বুঝিয়ে দেয়।
- কৌতূহল জাগানো:শিরোনাম এমন হওয়া উচিত যাতে পাঠক আরও জানতে উৎসুক হয়।
পরিষ্কার ও সহজ ভাষা:
- সরল ভাষা:জটিল শব্দ ও বাক্যের পরিবর্তে সহজ ও সরল ভাষা ব্যবহার করুন।
- উদাহরণ:জটিল ধারণাগুলোকে উদাহরণ দিয়ে ব্যাখ্যা করুন।
- সংক্ষিপ্ত পরিচ্ছেদ:পরিচ্ছেদগুলো খুব লম্বা না করে সংক্ষিপ্ত রাখুন।
তথ্যের সত্যতা যাচাই
- বিশ্বস্ত সূত্র:তথ্য সংগ্রহের সময় বিশ্বস্ত সূত্র থেকে তথ্য নিন।
- পুনঃ যাচাই:কোনো তথ্য ব্যবহার করার আগে তা পুনঃ যাচাই করে নিন।
সুসংগততা
- পরিচ্ছেদের মধ্যে সম্পর্ক:প্রতিটি পরিচ্ছেদ যেন আগের পরিচ্ছেদের সাথে যুক্ত থাকে।
- তর্কের ধারাবাহিকতা:তর্কের ধারাবাহিকতা বজায় রাখুন।
ভুল শোধন
- বানান ও ব্যাকরণ:লেখাটি লিখে শেষ করার পর ভালোভাবে বানান ও ব্যাকরণ পরীক্ষা করুন।
- পুনরাবৃত্তি:কোনো শব্দ বা বাক্য বারবার ব্যবহার করা এড়িয়ে চলুন।
উপসংহার:
- মূল বিষয়ের সংক্ষিপ্তসার:আর্টিকেলের শুরুতে উত্থাপিত প্রশ্নের উত্তর দিয়ে উপসংহার করুন।
- মূল বক্তব্য:আর্টিকেলের মূল বক্তব্যটি স্পষ্ট করে বলা উচিত।
পাঠকের সাথে যোগাযোগ:
- প্রশ্ন:পাঠকের সাথে যোগাযোগ স্থাপন করার জন্য প্রশ্ন করুন।
- উদ্বুদ্ধ করা:পাঠককে নিজের মতামত দেওয়ার জন্য উদ্বুদ্ধ করুন।
পুনর্বার পড়া:
- সম্পাদনা:লেখাটি একাধিকবার পড়ে দেখুন কোথাও কোনো ভুল আছে কি না।
- সুধারণ:প্রয়োজনীয় সংশোধন করে লেখাটিকে আরও ভালো করে তুলুন।
যেকোনো ছবি দিয়ে ছবি সম্পর্কিত আর্টিকেল লেখার নিয়ম
একটি ছবি হাজার শব্দের সমান এই কথাটি আমরা সবাই জানি।কিন্তু এই ছবি থেকে কীভাবে একটি আকর্ষণীয় আর্টিকেল তৈরি করা যায়,সেটা জানা সবার পক্ষে সম্ভব নয়।আসুন জেনে নিই কীভাবে একটি ছবি দিয়ে একটি আকর্ষণীয় আর্টিকেল লেখা যায়:
আরো পড়ুন : ইউটিউবে ভিডিও দিয়ে অনলাইনে ইনকাম করার উপায় যেনে নিন
ছবি বিশ্লেষণ
- বিষয়বস্তু:ছবিতে কী দেখা যাচ্ছে? কোন ব্যক্তি,স্থান বা বস্তু?
- মেজাজ:ছবিটি কেমন মেজাজ তৈরি করছে? আনন্দ,দুঃখ,রোমাঞ্চ,শান্তি?
- রং:ছবিতে কোন রংগুলো ব্যবহার করা হয়েছে এবং সেগুলো কী বোঝাতে চায়?
- কম্পোজিশন:ছবিটি কীভাবে সাজানো হয়েছে? কোন উপাদানটি সবচেয়ে বেশি নজর কাড়ে?
- দৃষ্টিভঙ্গি:ছবিটি কার দৃষ্টিভঙ্গি থেকে তোলা হয়েছে?
প্রশ্ন করুন
- কেন:এই ছবিটি কেন তোলা হয়েছে?
- কি:ছবিতে কী ঘটছে?
- কোথা:ছবিটি কোথায় তোলা হয়েছে?
- কখন:ছবিটি কখন তোলা হয়েছে?
- কীভাবে:ছবিটি কীভাবে তোলা হয়েছে?
আর্টিকেলের রূপরেখা তৈরি
- শিরোনাম:আকর্ষণীয় এবং বিষয়বস্তু প্রকাশক একটি শিরোনাম বেছে নিন।
- পরিচয়:ছবিটি সম্পর্কে সংক্ষিপ্ত পরিচয় দিন।
- বিশ্লেষণ:ছবিটির বিভিন্ন উপাদান বিশ্লেষণ করুন।
- ব্যাখ্যা:ছবিটির অর্থ এবং তাৎপর্য ব্যাখ্যা করুন।
- সম্পর্ক:ছবিটির সাথে সম্পর্কিত ব্যক্তি, স্থান বা ঘটনা সম্পর্কে আরো জানুন।
- উপসংহার:ছবিটির মূল বার্তা বা তাৎপর্য সংক্ষেপে তুলে ধরুন।
লেখার সময় মনে রাখবেন
- সহজ ভাষা:সবাই যাতে বুঝতে পারে, সেইরকম সহজ ভাষায় লেখা।
- উদাহরণ:আপনার মতামতকে আরও স্পষ্ট করার জন্য উদাহরণ দিন।
- তুলনা:অন্য ছবি বা ঘটনার সাথে তুলনা করে দেখান।
- কল্পনা:ছবিটি দেখে আপনার মনে যেসব কল্পনা আসে,সেগুলো লেখায় ব্যবহার করুন।
লেখক এর মতামত
গুগল ফ্রেন্ডলি আর্টিকেল লেখার প্রক্রিয়া সঠিক কৌশল ও নিয়ম অনুসরণের মাধ্যমে সহজ হয়ে যায়।কীওয়ার্ড গবেষণা থেকে শুরু করে কনটেন্ট স্ট্রাকচারিং,অনপেজ এসইও অপটিমাইজেশন,মোবাইল ফ্রেন্ডলি এ গুলো অনেক গুরুত্ত পূর্ণ বর্তমান সময়ে।উপরে ব্লগে আর্টিকেল লেখার নিয়ম গুলো নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে আপনাদের অনেক উপকারে আসবে।
নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url