নতুন ভোটার আইডি কার্ড ডাউনলোড করুন

নতুন ভোটার আইডি কার্ড ডাউনলোড কীভাবে করবেন,সেই প্রশ্নটি অনেকের মনেই জাগে।আজকে আমি আপনাদের সাথে সেয়ার করোব আপনারা কিভাবে নিজের smart Phone বা যে কোন কম্পিউটারের দোকান থেকে কিভাবে ভোটার আইডি কার্ড ডাউনলোড করবেন।এই পোষ্টটি যদি আপনারা মনোযোগ দিয়ে পরেন

নতুন-ভোটার-আইডি-কার্ড-ডাউনলোড

তাহলে আপনাদের প্রয়োজন হলে যে কোন সময় নতুন ভোটার আইডি কার্ড ডাউনলোড করে নিতে পারবেন।ভোটার আইডি কার্ড কি?ভোটার আইডি কার্ড আপনার কেন প্রয়োজন?ভোটার আইডি কার্ড কিকি কাজে লাগে ইত্যাদি আরো অনেক তথ্য জানতে পারবেন এই পোষ্টটি থেকে।

পোস্টসূচীপত্র:নতুন ভোটার আইডি কার্ড ডাউনলোড করুন

ভোটার আইডি কার্ড কি

ভোটার আইডি কার্ড হলো একটি নাগরিকের পরিচয়পত্র যা প্রমাণ করে যে,সে কোন দেশের নাগরিক।এটি প্রত্যেকটি নাগরিকের জন্য গুরুত্বপূর্ণ।তার কারণ ভোটার আইডি কার্ড এ সাধারণত আপনার নাম,ছবি,জন্ম তারিখ,ঠিকানা এবং একটি আইডি নম্বর থাকে।ভোটার আইডি কার্ড আপনার কাজের জন্য প্রোয়োজন হয়।নিচে একটি ভোটার আইডি কার্ডের গুরুত্ব তুলে দরা হল:

আরো পড়ুন : online birth certificate download bd কি ভাবে করবেন

  • ভোট দেওয়ার অধিকার
  • পরিচয় প্রমাণ করার জন্য
  • নাগরিকত্বের প্রমাণ
  • চাকরি জন্য প্রোয়জন হয়
  • জমি বিত্রিু করতে প্রয়োজন হয়

ভোটার আইডি কার্ড আপনার কেন প্রয়োজন

ভোটার আইডি কার্ড বা জাতীয় পরিচয়পত্র (NID) আপনার জন্য কেন প্রয়োজন, সেটা বোঝার জন্য এর গুরুত্ব জানা আপনার জন্য জরুরি।এই কার্ডটি কেবল ভোট দেওয়ার জন্যই নয়,বরং আপনার অনেক কাজে লাগবে।নিচে ভোটার আইডি কার্ড আপনার কাজে লাগবে এ রকম কয়েকটি উদাহরণ দেওয়া হল:

ভোটার আইডি কার্ডের প্রয়োজনীয়তা:

১)পরিচয় প্রমাণ:এটি আপনার সবচেয়ে নির্ভরযোগ্য পরিচয় প্রমাণ করবে।পাসপোর্ট,ড্রাইভিং লাইসেন্সের মতো এটি ও একটি সরকারি নথি যা আপনার পরিচয় নিশ্চিত করবে।
২)ব্যাংক অ্যাকাউন্ট ও অন্যান্য সেবা:ব্যাংক অ্যাকাউন্ট খোলা,সিম কার্ড নেওয়া,পাসপোর্ট তৈরি করা,সরকারি কাজে আবেদন করা ইত্যাদি কাজ গুলো করতে NID কার্ড ছারা হবে না।
৩)ভ্রমণ:বিভিন্ন দেশে ভ্রমণের সময় পরিচয় প্রমাণ হিসেবে NID কার্ড আপনার পরিচয় প্রমানের জন্য অনেক সহজ হবে।
৪)সরকারি সুবিধা:সরকারি সকল কাজের জন্য NID কার্ড লাগবে।
৫)আইনি কার্যক্রম:আইনি কাজে জন্য NID কার্ড অনেক জররির।
৬)সামাজিক নিরাপত্তা:NID কার্ডের মাধ্যমে সরকার বিভিন্ন সামাজিক নিরাপত্তা প্রকল্প পরিচালনা করে থাকে।

ভোটার আইডি কার্ড কেবল ভোট দেওয়ার জন্য নয়,বরং আপনার দৈনন্দিন জীবনে অনেক কাজে লাগতে পারে।এটি আপনার পরিচয় প্রমানের জন্য অনেক গুরুত্বপূর্ণ এবং অনেক সরকারি ও বেসরকারি সেবা পাওয়ার জন্য প্রয়োজনীয়। তাই,যদি আপনার এখনও NID কার্ড না থাকে,তাহলে দেরি না করে আজই nid তৈরি করে নিন।

আরো পড়ুন : পাসপোর্ট করতে কত টাকা লাগে যেনে নিন

ভোটার আইডি কার্ড আবেদন ফরম

আপনি যদি ভোটার আইডি কার্ডের জন্য আবেদন করতে চান,তাহলে আপনার এই বিষয় গুলো জানতে হবে নিচে এই বিষয় গুলো ভাল করে তুলে দরা হল:

  • অনলাইনে আবেদন:নতুন ভোটার আইডি কার্ড করার জন্য আপনি এই ওয়েব সাইটে প্রবেশ করুন।

আবেদনের জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র

  • জন্ম নিবন্ধন সনদ:অনলাইনে জন্ম নিবন্ধন সনদ থাকলে তা সংযুক্ত করতে হবে।
  • শিক্ষাগত যোগ্যতার সনদ:এসএসসি,জেএসসি বা পিইসি সনদ (প্রযোজ্য ক্ষেত্রে)।
  • পিতা-মাতার এনআইডি:পিতা-মাতা উভয়ের এনআইডি নম্বর এবং স্বাক্ষর থাকতে হবে।
  • অন্যান্য কাগজপত্র:পাসপোর্ট,বিদ্যুৎ বিল,জমির কাগজ ইত্যাদি প্রয়োজন হলে দিতে হবে।
ভোটার আইডি কার্ড ডাউনলোড প্রক্রিয়া যেনে নিন:

  • ধাপ ১:Nidw ওয়েবসাইটে প্রবেশ করুন।
  • ধাপ ২:একাউন্ট রেজিস্টার করুন।
  • ধাপ ৩:ঠিকানা প্রদান করুন।
  • ধাপ ৪:মোবাইল ভেরিফিকেশন করুন।
  • ধাপ ৫:Nid Wallet অ্যাপস ডাউনলোড।
  • ধাপ ৬:ফেইস ভেরিফিকেশন করুন।
  • ধাপ ৭:পাসওয়ার্ড সেট করুন।
  • ধাপ ৮:আইডি কার্ড ডাউনলোড করুন।

ভোটার স্লিপ বের করার নিয়ম

ভোটার স্লিপ আপনার ভোট দেওয়ার অধিকারের একটি প্রমাণ।নির্বাচনের সময় আপনাকে আপনার ভোট কেন্দ্রে এই স্লিপ দেখাতে হবে।আগে ভোটার স্লিপ আলাদা করে দেওয়া হতো,কিন্তু এখন অনেক ক্ষেত্রে এটি ভোটার আইডি কার্ডের সাথেই দেওয়া হয়।

আরো পড়ুন : অনলাইনে টিন সার্টিফিকেট করার নিয়ম যেনে নিন 

ভোটার স্লিপ বের করার উপায়

ভোটার স্লিপ বের করার জন্য আপনি সাধারণত নিম্নলিখিত পদ্ধতিগুলো অনুসরণ করতে পারেন:

নির্বাচন কমিশনের ওয়েবসাইট

  • বাংলাদেশের নির্বাচন কমিশনের ওয়েবসাইটে গিয়ে আপনার নাম,জন্ম তারিখ বা অন্যান্য প্রয়োজনীয় তথ্য দিয়ে আপনার ভোটার স্লিপ বের করতে পারেন।
  • এই ওয়েবসাইটে সাধারণত একটি সার্চ বক্স থাকে যেখানে আপনি আপনার নাম বা ভোটার আইডি নম্বর দিয়ে খুঁজতে পারেন।

নির্বাচন কমিশনের অফিস

আপনি সরাসরি নির্বাচন কমিশনের অফিসে গিয়েও আপনার ভোটার স্লিপের কপি নিতে পারেন।এই ক্ষেত্রে আপনার সাথে একটি সঠিক পরিচয়পত্র রাখতে ভুলবেন না।

ইউনিয়ন পরিষদ/উপজেলা পরিষদ অফিস

অনেক ক্ষেত্রে ইউনিয়ন পরিষদ বা উপজেলা পরিষদের অফিস থেকেও ভোটার স্লিপের কপি পাওয়া যায়।

ভোটার স্লিপ হারিয়ে গেলে কি করবেন?

নতুন ভোটার স্লিপের জন্য আবেদন

  • যদি আপনার ভোটার স্লিপ হারিয়ে যায়,তাহলে আপনি নতুন ভোটার স্লিপের জন্য নির্বাচন কমিশনের অফিসে আবেদন করতে পারেন।

ভোটার আইডি কার্ড ব্যবহার

অনেক ক্ষেত্রে ভোটার আইডি কার্ডই ভোটার স্লিপ হিসেবে কাজ করে।তাই আপনার ভোটার আইডি কার্ড থাকলে আপনাকে নতুন ভোটার স্লিপের জন্য আবেদন করার প্রয়োজন হতে পারে না।

আরো পড়ুন : জন্ম নিবন্ধন অনলাইন চেক করে নিন আপনার মোবাইলদিয়ে

মোবাইল নাম্বার দিয়ে জাতীয় পরিচয় পত্র বের করার নিয়ম যেনে নিন

সরাসরি মোবাইল নাম্বার দিয়ে জাতীয় পরিচয়পত্র (NID) বের করার কোনো সরকারি নির্ধারিত পদ্ধতি নেই।তবে,কিছু ক্ষেত্রে আপনার মোবাইল নাম্বার জাতীয় পরিচয়পত্রের সাথে সংযুক্ত থাকতে পারে এবং নির্দিষ্ট কিছু তথ্য পেতে সাহায্য করতে পারে।

কেন মোবাইল নাম্বার দিয়ে NID বের করা কঠিন?

  • গোপনীয়তা:ব্যক্তিগত তথ্যের গোপনীয়তা রক্ষার জন্য এই ধরনের তথ্য সরাসরি প্রকাশ করা হয় না।
  • সুরক্ষা:যেকোনো ব্যক্তিগত তথ্যের সাথে জড়িত তথ্য চুরির ঝুঁকি থাকে।
  • আইনি বাধা:অনেক দেশে ব্যক্তিগত তথ্যের অপব্যবহার রোধে আইনি বাধা রয়েছে।

কিভাবে NID সম্পর্কিত তথ্য পেতে পারেন?

যদি আপনার NID সম্পর্কিত কোনো তথ্য জানতে চান,তাহলে আপনি নিম্নলিখিত পদ্ধতিগুলো অনুসরণ করতে পারেন:

  • নির্বাচন কমিশনের ওয়েবসাইট:অনেক দেশে নির্বাচন কমিশনের ওয়েবসাইটে একটি সার্চ বক্স থাকে যেখানে আপনি আপনার নাম,জন্ম তারিখ বা অন্যান্য প্রয়োজনীয় তথ্য দিয়ে আপনার NID সম্পর্কিত তথ্য খুঁজতে পারেন।
  • নির্বাচন কমিশনের অফিস:সরাসরি নির্বাচন কমিশনের অফিসে গিয়েও আপনার NID সম্পর্কিত তথ্য জানতে পারেন।
  • মোবাইল অ্যাপ:কিছু দেশে নির্বাচন কমিশন মোবাইল অ্যাপের মাধ্যমে NID সম্পর্কিত তথ্য দেখার সুবিধা প্রদান করে।তবে,এই অ্যাপগুলোতে আপনাকে সাধারণত আপনার NID নম্বর বা অন্যান্য প্রমাণীকরণের প্রয়োজন হবে।

জাতীয় পরিচয় পত্র বের করার নিয়ম

জাতীয় পরিচয়পত্র বা NID হলো একজন ব্যক্তির পরিচয়ের প্রধান দলিল।এটি বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি সেবা গ্রহণের জন্য অত্যন্ত প্রয়োজনীয়।

NID করার জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র

  • জন্ম নিবন্ধন:আপনার জন্ম নিবন্ধন সনদ হচ্ছে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ কাগজপত্র।
  • পিতা/মাতার NID:আপনার পিতা বা মাতার মধ্যে কারো একটি NID থাকলে তা জমা দিতে হবে।
  • স্থায়ী ঠিকানার প্রমাণ:বিদ্যুৎ বিল,গ্যাস বিল,টেলিফোন বিল ইত্যাদি।
  • পাসপোর্ট সাইজের ছবি:সাদা পটভূমির দুই কপি পাসপোর্ট সাইজের ছবি।
  • শিক্ষাগত যোগ্যতার সনদ:(যদি থাকে)
  • বিবাহ নিবন্ধন:(যদি বিবাহিত হন)

অনলাইনে আবেদন

অনেক ক্ষেত্রে,আপনি অনলাইনেও NID করার জন্য আবেদন করতে পারেন।নির্বাচন কমিশনের ওয়েবসাইটে গিয়ে আবেদন ফরম পূরণ করে এবং প্রয়োজনীয় কাগজপত্র আপলোড করতে হবে।

আরো পড়ুন : শিশুদের e পাসপোর্ট করার নিয়ম যেনে নিন

কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয়

  • সঠিক তথ্য:আবেদন ফরমে সঠিক তথ্য দিন।ভুল তথ্য দিলে আপনার NID প্রক্রিয়ায় বিলম্ব হতে পারে।
  • সময়:NID করার জন্য নির্ধারিত সময়ের মধ্যে অফিসে যাওয়ার চেষ্টা করুন।
  • সহায়তা:যদি কোনো সমস্যা হয়,তাহলে নির্বাচন কমিশনের কর্মকর্তাদের সাথে যোগাযোগ করুন।

লেখক এর মতামত

নতুন ভোটার আইডি কার্ড ডাউনলোড এবং পুরাতন ভোটার আইডি কার্ড ডাউনলোড এই বিষয় গুলো নিয়ে উপরে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে।এই পোষ্ট থেকে আশা করি আপনাদের সকলের উপকার হবে।ভোটার আইডি কার্ড সর্ম্পকে সঠিক একটি ধারণা দেওঢার চেষ্টা করেছি।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url