শিশুদের e পাসপোর্ট করার নিয়ম যেনে নিন

ইলেকট্রনিক পাসপোর্ট বা e পাসপোর্ট করার নিয়ম,বর্তমানে বিশ্বের অনেক দেশে জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে।বাংলাদেশেও ই-পাসপোর্ট চালু হয়েছে যা আমাদের দেশের মানুষের জন্য বিদেশ ভ্রমণকে আরও সহজ এবং সুরক্ষিত করেছে।প্রাপ্তবয়স্কদের পাশাপাশি শিশুদের জন্যও ই-পাসপোর্ট অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

e-পাসপোর্ট-করার-নিয়ম

শিশুদের জন্য e পাসপোর্ট করার নিয়ম একটু আলাদা হতে পারে এবং এজন্য কিছু নির্দিষ্ট নথি ও তথ্য প্রদান করতে হয়।আজকে আমি আপনাদের সাথে সেয়ার করবো e পাসপোর্ট করার নিয়ম গুলো।এই পোষ্টটি মনোযোগ দিয়ে পরলে ১০০% ই পাসপোর্ট সর্ম্পকে জানতে পারবেন।

পোস্টসূচীপত্র:শিশুদের e পাসপোর্ট করার নিয়ম যেনে নিন

ই পাসপোর্ট কী?

e পাসপোর্ট একটি উন্নত পাসপোর্ট যার মধ্যে চিপ সংযুক্ত থাকে।এই চিপে পাসপোর্টধারীর বায়োমেট্রিক ডেটা যেমন আঙুলের ছাপ,ছবি,এবং অন্যান্য ব্যক্তিগত তথ্য সংরক্ষিত থাকে।এই ডেটাগুলি বিভিন্ন আন্তর্জাতিক নিরাপত্তা ব্যবস্থায় সহজে যাচাই করা যায়,যা যাত্রীদের জন্য ভ্রমণ প্রক্রিয়াকে আরও সুরক্ষিত করে তোলে।

শিশুদেরই পাসপোর্ট করতে যা যা প্রয়োজন

১.আবেদন ফর্ম পূরণ

শিশুর ই পাসপোর্ট করার জন্য প্রথমেই নির্দিষ্ট ফরম্যাটে আবেদন ফর্ম পূরণ করতে হবে।এই ফর্মটি অনলাইনেও পাওয়া যায় এবং তা পূরণ করে সাবমিট করতে হবে।আবেদন ফর্মটি সঠিকভাবে পূরণ করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ,কারণ এতে শিশুর নাম,জন্মতারিখ,অভিভাবকের নামসহ সব তথ্য সঠিকভাবে প্রদান করতে হবে।

২.শিশুর জন্ম সনদ

শিশুর ই পাসপোর্ট করতে তার জন্ম সনদ অবশ্যই প্রয়োজন।জন্ম সনদটি শিশুর বয়স প্রমাণ করার জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ নথি এবং এটি ছাড়া আবেদন গ্রহণ করা হয় না।সুতরাং,প্রথম ধাপেই নিশ্চিত হতে হবে যে জন্ম সনদ সঠিক এবং তাতে শিশুর নাম এবং জন্মতারিখ সঠিকভাবে উল্লেখ আছে কিনা।

৩.পাসপোর্ট সাইজ ছবি

শিশুর বর্তমান ছবি পাসপোর্টের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।ছবি তোলার সময় কিছু নির্দিষ্ট নিয়ম মেনে চলতে হবে যেমন সাদা ব্যাকগ্রাউন্ডে ছবি হতে হবে,শিশুর মুখমণ্ডল পরিষ্কারভাবে দৃশ্যমান হতে হবে এবং কোন ধরনের হেডগিয়ার ব্যবহার করা যাবে না(ধর্মীয় কারণে পরিধান ব্যতীত)।

৪.অভিভাবকের পরিচয়পত্র

শিশুর ই পাসপোর্ট আবেদন জমা দেওয়ার সময় অভিভাবকের পরিচয়পত্র প্রদর্শন করতে হয়।বাংলাদেশে সাধারণত জাতীয় পরিচয়পত্র (NID) বা ড্রাইভিং লাইসেন্স ব্যবহার করা হয়।অভিভাবকের পরিচয়পত্রের সঠিকতা যাচাইয়ের পরই আবেদন প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়।

৫.অভিভাবকের উপস্থিতি

শিশুর ই পাসপোর্ট করানোর সময় অভিভাবকের একজন বা উভয়ের উপস্থিতি বাধ্যতামূলক।শিশু নিজে পাসপোর্ট অফিসে যাওয়ার প্রয়োজন নেই,তবে অভিভাবকদের একজনকে অবশ্যই সাথে যেতে হবে।এটি করা হয় যাতে অভিভাবকরা আবেদন প্রক্রিয়ার সময় সমস্ত নথি সঠিকভাবে যাচাই করতে পারেন।

৬.বায়োমেট্রিক তথ্য সংগ্রহ

শিশুর বায়োমেট্রিক তথ্য যেমন:আঙুলের ছাপ সাধারণত গ্রহণ করা হয় না যদি সে ৬ বছরের কম বয়সী হয়।৬ বছরের বেশি বয়সী শিশুর ক্ষেত্রে বায়োমেট্রিক তথ্য নিতে হতে পারে।তবে,ছবিটি অবশ্যই বায়োমেট্রিক স্ক্যানারে তোলা হয় এবং এই ছবি পাসপোর্টে মুদ্রিত হয়।

ই পাসপোর্ট করতে সময় লাগবে কতদিন?

আবেদন প্রক্রিয়া সম্পন্ন হওয়ার পর,সাধারণত ১৫ থেকে ৩০ কর্মদিবসের মধ্যে ই পাসপোর্ট প্রদান করা হয়।জরুরি প্রয়োজনে আপনি দ্রুততর প্রক্রিয়ার জন্য আবেদন করতে পারেন,তবে এর জন্য কিছু অতিরিক্ত ফি দিতে হতে পারে।

আরো পড়ুন : online birth certificate download bd কি ভাবেকরবেন

ফি কত লাগবে?

শিশুর ই পাসপোর্ট করার জন্য ফি নির্ভর করে পাসপোর্টের মেয়াদ এবং জরুরি/অজরুরি প্রক্রিয়ার উপর।বর্তমানে বাংলাদেশে সাধারণ পদ্ধতিতে শিশুদের জন্য ৫ বছরের ই পাসপোর্টটের জন্য প্রায় ৩,৫০০ টাকা এবং ১০ বছরের জন্য প্রায় ৫,৫০০ টাকা ফি নির্ধারিত হয়েছে।জরুরি প্রক্রিয়ার জন্য এই ফি কিছুটা বেশি হতে পারে।

ই পাসপোর্ট আবেদনের ধাপসমূহ যেনে নিন

শিশুর ই পাসপোর্ট করার প্রক্রিয়া খুব সহজ এবং এটি মূলত কয়েকটি ধাপে সম্পন্ন হয়ে থাকে e পাসপোর্ট করার নিয়ম নিচে বিস্তারিত আলোচনা করা হল:

১.অনলাইন ফর্ম পূরণ

পাসপোর্ট অফিসের ওয়েবসাইট থেকে ফর্ম ডাউনলোড করে অথবা সরাসরি অনলাইনে ফর্ম পূরণ করতে হবে।আবেদনকারীর তথ্য,শিশুর তথ্য,এবং অভিভাবকের তথ্য সঠিকভাবে প্রদান করতে হবে।

২.আবেদন ফি পরিশোধ

ফি পরিশোধের জন্য ব্যাংক অথবা মোবাইল ব্যাংকিং ব্যবহার করা যেতে পারে।ফি জমা দেওয়ার পর একটি রসিদ পাওয়া যাবে যা আবেদন ফর্মের সাথে সংযুক্ত করতে হবে।

৩.নির্ধারিত সময়ে উপস্থিতি

পাসপোর্ট অফিস থেকে একটি নির্দিষ্ট সময়ে উপস্থিত থাকার নোটিশ পাওয়া যাবে।ওই সময়ে অভিভাবকদের উপস্থিত থাকতে হবে এবং প্রয়োজনীয় নথি নিয়ে আসতে হবে।

৪.পাসপোর্ট সংগ্রহ

সব প্রক্রিয়া শেষ হওয়ার পর,নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে পাসপোর্ট প্রস্তুত হলে তা সংগ্রহ করতে হবে।ই পাসপোর্ট অফিস থেকে।

ই পাসপোর্টের সুবিধাসমূহ

ই পাসপোর্টের বেশ কিছু সুবিধা রয়েছে যা শিশুদের ভবিষ্যতের জন্যও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ নিচে ই পাসপোর্ট এর সুবিধা গুলো নিয়ে আলোচ না করা হল:
  • উন্নত নিরাপত্তা ব্যবস্থা:ই পাসপোর্টে থাকা বায়োমেট্রিক চিপ এবং তথ্যগুলি যেকোনো ধরণের জালিয়াতি থেকে রক্ষা করে এবং শিশুদের ভ্রমণ নিরাপদ করে তোলে।
  • বৈধতা:ই পাসপোর্ট বিশ্বব্যাপী বৈধ এবং অধিকাংশ দেশের ইমিগ্রেশন সিস্টেমের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ। এটি ভ্রমণের সময় কোন সমস্যার সৃষ্টি করে না।
  • সহজ যাচাইকরণ:ই পাসপোর্টে থাকা তথ্যগুলি সহজেই যেকোনো দেশে যাচাই করা যায়,যার ফলে অভিভাবকদের পাসপোর্ট নিয়ে চিন্তা করতে হয় না।
  • দীর্ঘমেয়াদী বৈধতা:শিশুদের জন্য ই পাসপোর্ট ৫ থেকে ১০ বছরের জন্য বৈধ থাকে,ফলে দীর্ঘ সময় ধরে পাসপোর্ট নবায়নের প্রয়োজন হয় না।

পাসপোর্ট আবেদন করার নিয়ম

বাংলাদেশে ই পাসপোর্ট আবেদন করার প্রক্রিয়া ক্রমশ সহজ হয়েছে।আপনি অনলাইনেই সহজেই আবেদন করতে পারবেন।তবে আবেদনের আগে কিছু জরুরি তথ্য জানা জরুরি।পাসপোর্ট আবেদন করার নিয়ম গুলো নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে:

আরো পড়ুন : অনলাইনে টিন সার্টিফিকেট করার নিয়ম যেনে নিন 

আবেদনের জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র

  • জাতীয় পরিচয়পত্র (NID):১৮ বছরের উপরে হলে NID অবশ্যই দাখিল করতে হবে।
  • জন্ম নিবন্ধন সনদ:১৮ বছরের নিচে হলে (BRC English Version জন্ম সনদ) দাখিল করতে হবে।
  • পুরানো পাসপোর্ট (যদি থাকে):পাসপোর্ট নবায়ন করার ক্ষেত্রে প্রয়োজন হতে পারে।
  • দুটি পাসপোর্ট সাইজের রঙিন ছবি:নির্দিষ্ট মাপ ও ভাল মানের হতে হবে।
  • আবেদন ফি:নির্ধারিত ফি অনলাইনে জমা দিতে হবে।

আবেদনের ধাপ সমূহ

  • অনলাইন পোর্টালে ভিজিট:বাংলাদেশ ই-পাসপোর্টের অফিশিয়াল ওয়েবসাইটে যান এবং "আবেদন" অপশনটি সিলেক্ট করুন।
  • ফরম পূরণ:অনলাইন ফরমটি সঠিকভাবে পূরণ করুন।সব তথ্য সঠিকভাবে দিন।
  • দস্তাবেজ আপলোড:প্রয়োজনীয় কাগজপত্রগুলো স্ক্যান করে আপলোড করুন।
  • ফি জমা:নির্ধারিত ফি অনলাইনে জমা দিন।
  • আবেদন জমা দিন:সব তথ্য যাচাই করে আবেদনটি জমা দিন।
  • আবেদন নিশ্চিতকরণ:আপনার ইমেইলে একটি নিশ্চিতকরণ মেইল আসবে।
  • অফিসে যাওয়া:নির্ধারিত তারিখে পাসপোর্ট অফিসে গিয়ে আপনার বায়োমেট্রিক তথ্য দিন।
  • পাসপোর্ট সংগ্রহ:নির্ধারিত সময়ের মধ্যে পাসপোর্ট সংগ্রহ করে নিন।

গুরুত্বপূর্ণ বিষয় মনে রাখবেন:

  • সঠিক তথ্য:সব তথ্য সঠিকভাবে দিন।কোনো ভুল তথ্য দিলে পাসপোর্টে সমস্যা হতে পারে।
  • ছবির মান:ছবির মান ভালো হতে হবে।নির্দিষ্ট মাপের ছবি ব্যবহার করুন।
  • ফি জমা:ফি সময়মতো জমা দিন।
  • অফিসে উপস্থিতি:নির্ধারিত তারিখে অফিসে উপস্থিত হোন।

ই পাসপোর্ট চেক

আপনার ই পাসপোর্ট আবেদনের সর্বশেষ অবস্থা জানতে চান?খুব সহজ!বাংলাদেশ ই পাসপোর্টের অফিশিয়াল ওয়েবসাইটে গিয়ে আপনার আবেদনের স্ট্যাটাস চেক করতে পারবেন।

ই পাসপোর্ট চেক করার পদ্ধতি:

  • ওয়েবসাইটে যান:বাংলাদেশ ই-পাসপোর্টের অফিশিয়াল ওয়েবসাইটে ভিজিট করুন: 
  • "Check application status"অপশন সিলেক্ট করুন:ওয়েবসাইটের  হোম পেজ থেকে সিলেক্ট করুন।
  • আপনার তথ্য দিন:আপনার আবেদন আইডি এবং জন্ম তারিখ সঠিকভাবে দিন।
  • স্ট্যাটাস দেখুন:সাবমিট করার পর আপনার আবেদনের সর্বশেষ অবস্থা দেখতে পাবেন।

 ই পাসপোর্ট এর চেক করা জরুরি?

  • আপডেট থাকুন:আপনার পাসপোর্ট প্রক্রিয়াকরণের প্রতিটি ধাপ সম্পর্কে আপনি জানতে পারবেন।
  • সমস্যা সমাধান:যদি কোন সমস্যা হয়,তা দ্রুত শনাক্ত করে সমাধান করতে পারবেন।
  • পাসপোর্ট সংগ্রহের জন্য প্রস্তুত থাকুন:পাসপোর্ট প্রস্তুত হলে আপনি অবহিত হবেন।

১৮ বছরের নিচে ই পাসপোর্ট করতে কি কি লাগে যেনে নিন

১৮ বছরের নিচে পাসপোর্ট করার জন্য কিছু নির্দিষ্ট কাগজপত্র প্রয়োজন।তবে,এটি মনে রাখা জরুরি যে,পাসপোর্ট সংক্রান্ত নিয়মাবলী মাঝে মধ্যে পরিবর্তিত হতে পারে।তাই,সর্বশেষ তথ্যের জন্য পাসপোর্ট অফিসের সাথে সরাসরি যোগাযোগ করা উত্তম।

আরো পড়ুন : জন্ম নিবন্ধন অনলাইন চেক করে নিন আপনার মোবাইল দিয়ে

১৮ বছরের নিচে পাসপোর্ট করার জন্য নিম্নলিখিত কাগজপত্রগুলি প্রয়োজন হতে পারে:

  • জন্ম নিবন্ধন সনদ:(BRC English Version জন্ম সনদ) অবশ্যই দাখিল করতে হবে।
  • পিতা বা মাতার জাতীয় পরিচয়পত্র (NID):শিশুর পিতা বা মাতার NID নম্বর অবশ্যই উল্লেখ করতে হবে।
  • পাসপোর্ট সাইজের রঙিন ছবি:নির্দিষ্ট মাপ ও মানের হতে হবে।
  • অভিভাবকের অনুমতি:শিশুর পক্ষ থেকে অভিভাবককে আবেদন করতে হবে।
  • অন্যান্য কাগজপত্র:পাসপোর্ট অফিসের নির্দেশ অনুযায়ী অন্যান্য কাগজপত্রও দাখিল করতে হতে পারে।

কত বছর বাচ্চার পাসপোর্ট লাগে

বাচ্চার পাসপোর্ট কত বয়স থেকে করা যায়, সেটা কোন নির্দিষ্ট বয়স নেই।সাধারণত,শিশুদের জন্য পাসপোর্ট করা যায়,তবে নির্দিষ্ট বয়স সীমা সম্পর্কে জানতে আপনাকে পাসপোর্ট অফিসের সাথে সরাসরি যোগাযোগ করতে হবে।

কেন সরাসরি যোগাযোগ করা জরূরি?

  • নিয়মাবলী পরিবর্তন:পাসপোর্ট সংক্রান্ত নিয়মাবলী মাঝে মধ্যে পরিবর্তিত হতে পারে।
  • বিশেষ পরিস্থিতি:আপনার পরিস্থিতি অনুযায়ী বিশেষ কিছু নিয়ম প্রযোজ্য হতে পারে।

আপনি কিভাবে যোগাযোগ করতে পারেন:

  • পাসপোর্ট অফিসের ওয়েবসাইট:বাংলাদেশ ই পাসপোর্টের অফিশিয়াল ওয়েবসাইটে ভিজিট করে আপনি বিস্তারিত তথ্য পেতে পারেন।
  • হেল্পলাইন:পাসপোর্ট অফিসের হেল্পলাইনে কল করে আপনার প্রশ্নের উত্তর পেতে পারেন।
  • পাসপোর্ট অফিসে যাওয়া:সরাসরি পাসপোর্ট অফিসে গিয়ে কর্মকর্তাদের সাথে কথা বলতে পারেন।

বাচ্চাদের পাসপোর্ট ফি

বাচ্চাদের পাসপোর্ট ফি সাধারণত বয়সের উপর নির্ভর করে না।তবে,পাসপোর্টের ধরন (সাধারণ,এক্সপ্রেস,সুপার এক্সপ্রেস),সেবার ধরন (নতুন পাসপোর্ট,নবায়ন)এবং অন্যান্য কারণের উপর নির্ভর করে ফি পরিবর্তিত হতে পারে।সর্বশেষ ফি জানার জন্য আপনাকে পাসপোর্ট অফিসের ওয়েবসাইট বা সরাসরি পাসপোর্ট অফিসে যোগাযোগ করতে হবে।

আরো পড়ুন : লাইভ চ্যাট বিকাশ আপনার সমস্যার সমাধান করেনিন

কেন সরাসরি যোগাযোগ করা জরুরি?

  • ফি পরিবর্তন:পাসপোর্ট ফি মাঝে মধ্যে পরিবর্তিত হতে পারে।
  • বিশেষ সুবিধা:কোনো বিশেষ সুবিধা থাকলে ফি কম বা বেশি হতে পারে।

৩ বছরের বাচ্চার পাসপোর্ট

৩ বছরের বাচ্চার পাসপোর্ট করার জন্য কিছু বিশেষ বিষয় মাথায় রাখতে হবে।নিচে বিস্তারিত আলোচনা করা হল:

প্রয়োজনীয় কাগজপত্র

  • জন্ম সনদ:(BRC English Version জন্ম সনদ ) সাথে দাখিল করতে হবে।
  • পিতা বা মাতার জাতীয় পরিচয়পত্র (NID):শিশুর পিতা বা মাতার NID নম্বর অবশ্যই উল্লেখ করতে হবে।
  • পাসপোর্ট সাইজের রঙিন ছবি:নির্দিষ্ট মাপ ও মানের হতে হবে।সাধারণত,৬ বছরের নিচের শিশুদের জন্য থ্রি-আর সাইজের ধূসর ব্যাকগ্রাউন্ডের এক কপি ছবি দিতে হয়।
  • অভিভাবকের অনুমতি:শিশুর পক্ষ থেকে অভিভাবককে আবেদন করতে হবে।
  • অন্যান্য কাগজপত্র:পাসপোর্ট অফিসের নির্দেশ অনুযায়ী অন্যান্য কাগজপত্রও দাখিল করতে হতে পারে।

কত বছরের বাচ্চাদের ভিসা লাগে না

কোন দেশে ভ্রমণ করতে চান,তার উপর নির্ভর করে বাচ্চাদের ভিসার প্রয়োজন হতে পারে বা নাও হতে পারে।সাধারণত,কিছু দেশ বাংলাদেশি নাগরিকদের জন্য ভিসা-মুক্ত ভ্রমণের সুযোগ দেয়।আবার অনেক দেশে নির্দিষ্ট বয়সের নিচের শিশুদের জন্য ভিসা লাগে না।কোন কোন দেশে বাচ্চাদের ভিসা লাগে না,সে সম্পর্কে নিশ্চিত তথ্য পেতে আপনাকে নিচের কাজগুলো করতে হবে:

  • বিদেশ মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইট:বাংলাদেশের বিদেশ মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইটে ভ্রমণ সংক্রান্ত বিভিন্ন দেশের ভিসা নীতি সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য পাওয়া যাবে।
  • দূতাবাস বা কনস্যুলেট:আপনি যে দেশে ভ্রমণ করতে চান,সে দেশের বাংলাদেশে অবস্থিত দূতাবাস বা কনস্যুলেটে যোগাযোগ করে সঠিক তথ্য পেতে পারেন।
  • ভ্রমণ এজেন্সি:কোনো ভ্রমণ এজেন্সির সাহায্য নিতে পারেন।তারা আপনাকে ভিসা সংক্রান্ত সব ধরনের সহযোগিতা করতে পারবে।

কিছু দেশে 12 বছরের নিচের শিশুদের জন্য ভিসা লাগে না।তবে,এটি একটি সাধারণ ধারণা।প্রতিটি দেশের নিজস্ব ভিসা নীতি রয়েছে।সুতরাং,কোনো দেশে ভ্রমণ করার আগে অবশ্যই সে দেশের ভিসা নীতি সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য সংগ্রহ করুন।

লেখক এর মতামত

শিশুদের ই পাসপোর্ট করা বর্তমানে খুবই সহজ এবং সাশ্রয়ী হয়েছে।এই পাসপোর্ট শিশুদের নিরাপদ ও সহজ ভ্রমণ নিশ্চিত করে।সঠিক নথি এবং প্রক্রিয়ার মাধ্যমে শিশুদের জন্য ই পাসপোর্ট করানোর এই ধাপগুলি অনুসরণ করলে অভিভাবকরা সহজেই তাদের সন্তানদের ভ্রমণের প্রস্তুতি নিতে পারবেন।আশা করি e পাসপোর্ট করার নিয়ম গুলো আপনাদের অনেক উপকারে আসবে।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url