যে সকল পদ্ধতিতে বিবাহ বিচেছদ হতে পারে

বিবাহ বিছেদ

ভূমিকা

মুসলিম আইনে বিবাহ শুধুমাত্র ধর্মীয় অনুষ্ঠান নয়।এটি একটি বিশুদ্ধ দেওয়ানী চুক্তি স্বরূপ।সুতরাং স্বামী ও স্ত্রীর মধ্যে বিবাহ বন্ধন সারা জীবনের জন্য হয়ে থাকে।আবার বিবাহ বন্ধন স্বামী ও স্ত্রীর পরস্পরকে আকর্ষণ না করে বিকর্ষণ করলে পরিস্থিতি সাপেক্ষে তাদের ভিতর এই বন্ধন ছেদ করার প্রয়োজন দেখা দেয়।

হযরত মোহাম্মদ (সাঃ) নিজের বিবাহ বিচ্ছেদকে প্রীতির চোখে দেখেন নাই।কিন্তু স্বামী স্ত্রীর ভেতর সম্পর্ক দিন দিন বিষময় হতে হতে বিবাহ বিচ্ছেদ এর বিকল্প নাই পরিস্থিতির উদ্ভব হলে বিবাহ বিচ্ছেদ গ্রহণীয় নয় বলার অবকাশ নাই।

যে সকল পদ্ধতিতে বিবাহ বিচ্ছেদ হতে পারে

প্রথমত স্বামী কিংবা স্ত্রী,যেই কোন একজনের মৃত্যুতে একটি মুসলিম বিবাহ ভঙ্গ হয়ে যাবে। তবে দম্পতির জীবদ্দশায় বিবাহ বিচ্ছেদ করতে চাইলে স্বামীকে সুস্থ ও সাবালক হতে হবে।নাবালক বা মাতাল ব্যক্তি সরাসরি ভাবে বিবাহ বন্ধন ছেদ করতে পারে না।

স্বামী যখন বিবাহ বিচ্ছেদ করে তখন তাকে তালাক বলে।এটি লিখিত ও অলিখিত হতে পারে।তালাকনামা বিবাহ বিচ্ছেদের দলিল বলে গণ্য হয়।তবে এটি কিভাবে লিখিত হবে তার কোন ধরা বাধা নিয়ম নেই।তবে তালাকের মাধ্যমে বিবাহ বন্ধন ছিন্ন করতে হলে অবশ্যই কাজী বা স্ত্রীর পিতা কিংবা অন্যান্য সাক্ষীদের সামনে স্বামীকে সরাসরি ভাবে তার অভিমত প্রকাশ করতে হবে। 

আরো পড়ুন : cs খতিয়ান কি?সি এস খতিয়ান চেনার উপায়

তালাক দেওয়ার প্রাক্কালে তালাক সংক্রান্ত শব্দগুলি এমন হওয়া দরকার যেন তাতে প্রকাশ পায় যে,স্বামী একান্ত তার স্ত্রীকে তালাক দিতেছে।যেমন- স্বামী কর্তৃক স্পষ্ট ভাবে বলতে হয়,-“আমি তোমাকে তালাক দিলাম, আমি আমার স্ত্রীকে চিরদিনের জন্য তালাক দিয়েছে, সে আমার জন্য হারাম”।অর্থাৎ তালাক দেবার ভাষাগুলি স্পষ্ট হতে হবে।আবার স্ত্রীর অনুপস্থিতিতেও তালাকনামা প্রণয়ন করা যেতে পারে।

সুতরাং মুসলিম আইনে বিবাহ বিচ্ছেদের ক্ষেত্রে নিম্নের যে কোন একটি পদ্ধতিতে বিবাহ বিচ্ছেদ ঘটতে পারে,

যেমন-

(ক)একজন মুসলিম স্বামী তার স্ত্রীর উপর তালাক উচ্চারণ করে বিবাহ বিচ্ছেদ ঘটাতে পারে।
(খ)একজন মুসলিম স্ত্রী তার নিজের বিবাহ বিচ্ছেদ ঘটাবার স্বাধীন কোন ক্ষমতা নেই, কিন্তু বিবাহের পূর্বে বা পরে সম্পাদিত স্বামী কর্তৃক প্রকাশ্য সম্মতিতে স্ত্রী তার বিবাহ বিচ্ছেদ ঘটাতে পারে।
(গ)আদালতের হস্তক্ষেপ ছাড়া, স্বামী ও স্ত্রীর পারস্পারিক সম্মতির মাধ্যমে একে অপরের বিবাহবিচ্ছেদ ঘটাতে পারে।
(ঘ)যে ক্ষেত্রে স্বামী বিবাহ চুক্তিতে এই মর্মে অঙ্গীকার করে যে, যদি কোন একটি বিশেষ ঘটনা ঘটে, তবে ঐ বিবাহটি আপনা আপনি ভঙ্গ হয়ে যাবে, সেই ক্ষেত্রে এই চুক্তি মোতাবেক উক্তরূপ ঘটনা ঘটা মাত্রই বিবাহ বিচ্ছেদ হবে।
(ঙ)স্বামী অথবা স্ত্রী কর্তৃক আনীত মামলার বিচার বিভাগীয় কার্যক্রমের দ্বারা বিবাহ বিচ্ছেদ ঘটানো যায়।
সুতরাং উপরোক্ত পদ্ধতিগুলির যেকোনো একটি পদ্ধতির মাধ্যমে কোন দম্পতির জীবদ্দশায় বিবাহ বিচ্ছেদ ঘটাতে পারেন।

বিবাহ বিচ্ছেদের প্রকারভেদ

তালাক
মুসলিম আইনে তালাক একটি বিশেষ উল্লেখযোগ্য অধ্যায়ের সূচনা করেছে।ঐতিহাসিক শ্রোতধারায় উৎসারিত এই প্রথা প্রাচীন আরব চরিত্রের স্বাক্ষর বহন করছে।প্রাচীন আরবের প্রচলিত এই প্রথা ইসলামী পরবর্তী যুগেও অব্যাহত থাকে।

কিন্তু পরবর্তীকালে হযরত মোহাম্মদ (সাঃ) তালাকের তালাকের বিধানাবলীর ব্যাপক সংস্কার সাধন করে এক অভিনব ও ব্যতিক্রম ধর্মীয় অধ্যায়ের সংযোজন করেন।সাথে সাথে ১৯৬১ সালের মুসলিম পারিবারিক আইন অধ্যাদেশ দ্বারা এর বিধানাবলী কিছুটা পরিবর্তন ঘটে।ফলে বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে ‘তালাক’ একটি বিশেষ এবং পরবর্তীতে যুগোপযোগী হিসেবে আরপ্রকাশ করেছে।

আরো পড়ুন : sa খতিয়ান কি?এস এ খতিয়ান ইতিহাস

মুসলিম আইনে “তালাক” শব্দের অর্থ “মুক্তি”।স্ত্রীকে বিবাহ বন্ধন থেকে স্বামীর মুক্তি দেওয়ার অধিকার কে তালাক নামে অভিহিত করা হয়।
হেদায়া-তার মতানুসারে তালাকের অর্থ ইস্তফা করন। এই অধিকার শুধুমাত্র স্বামীই প্রয়োগ করতে পারে।

যেকোন সুস্থ মস্তিষ্ক ও বালেগ স্বামী কোন কারণ না দর্শাইয়া যেকোনো সময়ে অনিয়ন্ত্রিত ক্ষমতা প্রয়োগের মাধ্যমে স্বীয় ইচ্ছানুযায়ী তার স্ত্রীকে তালাক দিতে পারে।তালাক দেওয়া অত্যন্ত নিন্দিত হলেও এটি আইনসম্মত।তালাকপ্রধানের সময় হতেই তালাক কার্যকর হয় বলে গণ্য করা হয়।
তালাক মৌখিক অথবা লিখত হতে পারে।অর্থাৎ এটি মৌখিক বাক্য দ্বারা বা লিখিত তালাক নামা দ্বারা প্রদান করা যেতে পারে। তবে এটি অবশ্যই তালাক উচ্চারণের মাধ্যমে করতে হবে।স্বামী এবং স্ত্রী দীর্ঘদিন যাবৎ পৃথক আছেন কেবলমাত্র এই ঘটনা হতে কোন তালাক অনুমান করা যাবে না।

মৃত্যু শয্যা অবস্থায় স্বামী তার স্ত্রীকে তালাক দিতে পারেন,কিন্তু ঐ ক্ষেত্রে যদি স্বামী স্ত্রীর ইদ্দতের মেয়াদ শেষ হওয়ার পূর্বে মারা যায়, তবে সেই স্ত্রী ওই স্বামীর সম্পত্তির ওয়ারিশ হবে কিন্তু যদি সে ইদ্দতের মেয়াদ শেষ হওয়ার পরে মারা যায়, তবে সে ওই স্বামীর সম্পত্তির ওয়ারিশ হবে না।

আবার একজন অপ্রকৃস্হ ব্যক্তি বা পাগল তার সাময়িক ভালো অবস্থায় তার স্ত্রীকে তালাক দিতে পারে কিন্তু সে তার অসুস্থ অবস্থায় তা করলে এটা অকার্যকর হবে।আবার কোন নাবালক স্বয়ং নিজে বা তার পক্ষে তার অভিভাবক ওই নাবালকের স্ত্রীর উপর তালাক উচ্চারণ করতে পারে না।

যদি কোন নাবালক তার নিজের নাবালকত্বের সময়ে স্ত্রীকে তালাক দেয় এবং সে বয়োপ্রাপ্ত হয়ে তা অনুমোদন করে, তবুও তা তালাকে পর্যবসিত হবে না।সে তখন কেবল নতুন করে তার স্ত্রীকে তালাক দিতে পারে।কেবলমাত্র অতীত তালাককে অনুমোদন দিলে এটি অকার্যকর হবে।
এছাড়া একজন নাবালকের অভিভাবক নাবালকের পক্ষে তালাক সম্পর্কে চুক্তিতে উপনীত হতে পারেন।যে ক্ষেত্রে কোন অভিভাবক এই মর্মে চুক্তি করেন যে, যদি স্বামী অন্য স্ত্রী গ্রহণ করেন, তবে এই স্ত্রী নিজের বিবাহবিচ্ছেদ ঘটাবার অধিকারী হবেন।সেই ক্ষেত্রে মহামান্য হাইকোর্টের অভিমত হলো এইযে, এইরুপ চুক্তি বৈধ এবং তা কার্যকর করা যাবে। (এ, আই, আর (১৯৪১) কলিকাতা, ৬৫৭)।

তালাকের প্রকারভেদ

তালাকে আহসান (কিংবা সর্বাপেক্ষা মনোনীত তালাক)
শীয়া আইন
তালাকে হাসান (কিংবা মনোনীত তালাক)

এই প্রকার তালাকে সর্বাপেক্ষা মনোনীত বা অনুমোদিত তালাক বলা হয়।হযরত মোহাম্মদ (সঃ) এই প্রকার তালাককে অনুমোদন করেছেন।এই প্রকার তালাকের ক্ষেত্রে স্ত্রীর দুইটি ঋতু কালের মধ্যবর্তী “তহুর” এর সময় অর্থাৎ দেহ পবিত্র থাকা অবস্থায় স্বামী যদি একবার মাত্র “তালাক” উচ্চারণ করে এবং স্ত্রীর ইদ্দতকাল

অর্থাৎ তিনটি ঋতু কাল পর্যন্ত তার সাথে কোন যৌন সম্পর্ক স্থাপন না করে তাহলে এই প্রকার তালাকের পদ্ধতিতে তালাকে আহসান বলা হয়।এই প্রকার তালাক অখন্ডনীয় তালাকে পরিণত হয়ে বিবাহ সম্পূর্ণরূপে বিচ্ছিন্ন করে। কিন্তু তৎপূর্বে যদি স্বামী পুনরায় স্ত্রীকে সম্ভোগ করে তাহলে ঐ তালাক প্রত্যাহত হয়ে যাবে।

শীয়া আইনের সাথে সুন্নী আইনের পার্থক্য এইটুকু যে, সুন্নী আইন শুধু হায়েয অর্থাৎ ঋতুকালে তালাক প্রদানে বাধা রয়েছে।কিন্তু শীয়া আইনে নেফাস অর্থাৎ সন্তান প্রসবের পর স্রাব অবস্থায়ও উক্ত বাধা বর্তমান থাকে।
পবিত্র কুরআনে এরশাদ হলো তোমরা স্ত্রীদিগকে “হয় মানবতার সাথে আশ্রয় দাও,কিংবা অনুকম্পার সাথে মুক্তি দাও”।হযরত মোহাম্মদ (সঃ) বললেন, “আইন কর্তৃক যা কিছু বৈধ করা হয়েছে, এর মধ্যে নিকৃষ্টতম জিনিস হলো বিবাহ বিচ্ছেদ”।
এই প্রকার তালাককে অনুমোদিত তালাক বলা হয়।এই তালাক প্রদানের পদ্ধতি হলো এই: স্বামী পরপর তিনটি তুহুর এর প্রত্যেক তুহুরেই অর্থাৎ স্ত্রীর ঋতুমুক্ত অবস্থায় একবার করে তালাক উচ্চারণ করবে এবং তৎপর স্ত্রী সহবাস করবে না। এরপর তৃতীয় তুহুরে এটি উচ্চারণের সঙ্গে সঙ্গে অখন্ডনীয় তালাক হয়ে যাবে।
প্রথম ঘোষণাটি এক তুহুরের কালে দ্বিতীয় ঘোষণাটি পরবর্তী তুহুর কালে এবং তৃতীয় ঘোষণাটি তার পরবর্তী তুহুর কালে করতে হবে।

তালাকুল বিদাত কিংবা তালাকে বাদাই

হানাফিগণ পূর্বের দুই প্রকার তালাকে আহসান এবং তালাকে হাসান ছাড়াও এই তৃতীয় প্রকারের তালাক হিজরীর দ্বিতীয় শতাব্দীতে উমাইয়া সম্রাটগণ কর্তৃক প্রচলিত হয়: প্রকৃতপক্ষে এটি অভিনব এবং ধর্ম মতের বিরুদ্ধ বলে একে “বিদাত” বলা হয়।এই ধর্ম বিগহিত তালাক আইনে বৈধ বলে ধার্য হয়।

আরো পড়ুন : জমি কিনতে কি কি কাগজ পত্র লাগে

কিন্তু ধর্মানুযায়ী একে নিকৃষ্ট বলে ধারণা করা হয়।শীয়াগন এটি আদৌ স্বীকার করে না।দুঃখের বিষয় এই উপমহাদেশে এই প্রকার তালাকের প্রাবল্য অধিক লক্ষ্য করা যায়। এতে প্রত্যাহার করার ক্ষমতা স্বামীর আদৌ থাকে না।এটি উচ্চারণের সঙ্গে সঙ্গেই অখন্ডনীয় তালা অর্থাৎ তালাকে বাইন হয়ে যায়।

এই প্রকার তালাক দুইটি পদ্ধতিতে প্রদান করা যায় যথা

১।একই তুহুরে অর্থাৎ ঋতু মুক্তির সময়ে স্বামী মাত্র একটি বাক্য যথা “আমি তোমাকে তিন তালাক দিলাম” উচ্চারণ করলে কিংবা তিনবার আলাদা করে “আমি তোমাকে তালাক দিলাম” বলতে অখন্ডনীয় তালাকে হিসাবে এটি কার্যকরী হয়।

২।একই তুহুরে যদি সুস্পষ্ট ভাবে অখন্ডনীয় তালাক দেওয়ার ইচ্ছা প্রকাশ করে স্বামী কোন বাক্য উচ্চারণ করে যথা- “আমি তোমাকে বাইন তালাক দিলাম” তাহলে এটিও অখন্ডনীয় তালাক হিসাবে কার্যকরী হবে।তবে স্ত্রীর ঋতুকালীন সময়েও এই রূপ তালাক উচ্চারণ করতে বাধা নেই।শিয়া আইনে এইরূপ তালাক স্বীকৃত নহে।

এছাড়াও এমন কতক পরিস্থিতির উদ্ভব হতে পারে, যেসব পরিস্থিতিতে তালাক প্রক্রিয়া ভিন্নভাবে প্রয়োগ করে বিবাহ বিচ্ছেদ করা যেতে পারে।অন্যভাবে বলা যায় যে, সুন্নাহ তালাক এবং বিদাত তালাক ছাড়াও তালাক বিভিন্নভাবে প্রয়োগ করা যায়।যেমন-

তালাক-ই-তাওফিজ

মুসলিম আইনে স্বামী স্ত্রীকে কিংবা কোন তৃতীয় ব্যক্তিকে বিবাহ বিচ্ছেদ করার ক্ষমতা অর্পণ করতে পারে।এই রূপ ক্ষমতা স্থায়ীভাবে কিংবা সাময়িকভাবে প্রয়োগ করা যায়।স্বামী প্রদত্ত এই ক্ষমতার বলে স্ত্রী বা তৃতীয় ব্যক্তি বিবাহ বিচ্ছেদ করাতে পারে।মুসলিম আইনে এই ধরনের বিবাহ বিচ্ছেদ “তালাক-ই-তাওফিজ” যা “তাফিজ তালাক” নামে পরিচিত।আবার এই প্রকার তালাককে প্রতিনিধিত্ব মূলক তালাক বলা হয়।

স্থায়ীভাবে প্রদত্ত ক্ষমতার বলে তাফিজ তালাক প্রয়োগ করলে এটা রদ করা যায়।কিন্তু সাময়িকভাবে প্রদত্ত এই তালাক প্রয়োগ করলে এটি রদ করা যায় না।এই প্রকার তালাকের ক্ষেত্রে স্বামী যদি স্ত্রীকে বলে,“তুমি বিবাহ বিচ্ছেদ করতে পারো”। 

তাহলে স্বামী আর স্ত্রীর কাছে এই ক্ষমতা প্রত্যাহার করতে পারে না।স্বামী যদি স্ত্রীকে বলে, “তুমি আজই বা এই মাসের ভিতর বা এই বছরের ভিতর পথ দেখো”, তাহলে স্ত্রী এই সময়ের ভেতর বিবাহ বিচ্ছেদ করতে পারে।

লেখক এর মতামত

আমি (শামিম মোক্তার) শ্রীপুর সাব-রেজিষ্ট্রি অফিসের দলিল লেখক শ্রীপুর,গাজিপুর।যে সকল পদ্ধতিতে বিবাহ বিচেছদ হতে পারে এ গুলো নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে আপনাদের যদি কোন প্রশ্ন থাকে কমেন্ট করে জানাতে পারেন।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url